ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় মিছিল, সমাবেশ ও মোমবাতি প্রজ্বলন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ সময় কলকাতার ঘটনাসহ বাংলাদেশে গত ১৫ বছরে ধর্ষণ-যৌন নিপীড়নের প্রতিটি ঘটনার বিচার দাবি করা হয়।
গত ৯ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় আর জি কর মেডিকেল কলেজের ৩১ বছরের এক চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, ভারতসহ বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আন্দোলন ও বিক্ষোভ চলছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে শুরু হয়ে ভিসি চত্বর ও শহীদ মিনার ঘুরে আবার টিএসসিতে এসে শেষ হয়। সেখানে শিক্ষার্থী সমাবেশ করেন। এক মিনিট নীরবতা পালনের পরে তারা মোমবাতি প্রজ্বলন করেন।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম বলেন, অনেক ধর্ষক আছে; যারা ধর্ষণকে অপরাধ বলে মনে করে না। এটা যেন নারীর প্রতি পুরুষের একটু কর্তৃত্ব দেখানো। ধর্ষককে নারী-পুরুষ, ক্ষমতাসীন হিসেবে দেখা বন্ধ করে যতদিন না শুধুমাত্র ধর্ষণ ও অপরাধী হিসেবে দেখা শুরু হবে, ততদিন না ভারতে, না বাংলাদেশে কোনো জায়গায় ধর্ষণের বিচার হবে না।
এই রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক সময় পোশাকের স্বাধীনতা নিয়ে আন্দোলন হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, একদল এসে বলবে, সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে, বাসে সিট রাখা হয়েছে। মেয়েদের একটু কিছু বললেই ভিকটিম কার্ড খেলে দেয়। বাসে তোমরা সিট চাইবে, আবার সমান অধিকার চাইবে।
আরেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা বলেন, কলকাতায় চিকিৎসক মৌমিতা ধর্ষণ ও বিচারের দাবিতে আমরা আজকে এখানে দাঁড়িয়েছি। বাংলাদেশে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের শাসন আমলে আমরা দেখেছি যে, ক্ষমতাসীন ও তাদের মদদপুষ্ট লোকজন ধর্ষণ-যৌন নিপীড়নের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল। বাংলাদেশে এমন একটি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যেখানে একজন মানুষ যতই ক্ষমতাধর হোক না কেন-ধর্ষণ, হত্যা, যৌন নিপীড়ন করে যেন পার পেতে না পারে।
আরো পড়ুন : কে এই নতুন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী!