মাধবপুর (হবিগঞ্জ) ও বিজয়নগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মসজিদের ইমাম নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই জেলার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে বিজয়নগরের হরষপুর ইউনিয়ন ও হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নবাসীর মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষের কারণে ঢাকা-সিলেট ও চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথে দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। এতে এই রেলপথে চলাচলকারী ঢাকাগামী আন্তঃনগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, চট্টগ্রামগামী পাহাড়িয়া এক্সপ্রেসসহ বেশ কয়েকটি ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়ে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানায়, বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ও হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের মধ্যস্থলে হরষপুর ইসলামীয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা মসজিদ। এই মসজিদে ইমামতি করতেন মাওলানা বসির আহমেদ। কিন্তু তার কুরআন তেলাওয়াতে ভুল হয় অভিযোগে এলাকাবাসীর একটি অংশ তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। ফলে গত ৮ মাস ধরে তিনি মসজিদে আসতেন না। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর আরেক পক্ষ শুক্রবার ইমান বসির আহমেদকে দিয়ে জুমার নামাজ পড়ানোর চেষ্টা করেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয় বিরোধী পক্ষ। এর জের ধরে দুপক্ষের সংঘর্ষ বাধে। এতে দুই ইউনিয়নের প্রায় ৭-৮ হাজার লোক হরষপুর রেল স্টেশন এলাকাসহ আশপাশে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এসময় হরষপুর রেলস্টেশনের দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। তাদের মাধবপুর ও বিজয়নগরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জাবেদ মাসুদ জানান, মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ, বিজিবি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। দুই জেলার পুলিশই সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে।
আরো পড়ুন : ‘নর্থইস্ট নিউজ’কে টেলিফোনে ৪৫ মিনিটের সাক্ষাৎকারে সাখাওয়াত হোসেন