অনাস্থা ভোটের মুখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রোববার এক ঐতিহাসিক সমাবেশের ডাক দিয়েছেন।
ওই সমাবেশে ইমরান খান দাবি করেছেন, বিরোধী দল পেশ করা অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে তার জোট সরকারকে উৎখাতের জন্য বিদেশি শক্তি ‘ষড়যন্ত্রে’ জড়িত। পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম ট্রিবিউন রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ওই দাবির প্রমাণ হিসেবে একটি ‘চিঠির’ প্রসঙ্গ তুলে ইমরান খান বলেন, ‘দেশের বৈদেশিক নীতি সংশোধন করার জন্য’ বিদেশি শক্তি স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও অর্থ ব্যবহার করেছে।
পাকিস্তানের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনে বিদেশি শক্তি জড়িত উল্লেখ করে ইমরান খান আরও বলেন, আমি খুব কমই লিখিত বক্তব্য দেই….তবে আজ আমি আমার বক্তব্য লিখে এনেছি যেন আমি আবেগতাড়িত হয়ে না যায় এবং এমন কিছু বলে না ফেলি, যা আমাদের বৈদেশিক নীতিতে প্রভাব ফেলে।
ইসলামাবাদের ‘ঐতিহাসিক’ সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, পদ থেকে সরে যেতে হলেও তিনি ‘দুর্নীতিবাজ নেতাদের’ ছাড়বেন না ।
এদিকে, পাকিস্তানের পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটির আগে তার দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) অন্তত ৫০ জন মন্ত্রীকে রাজনৈতিক দৃশ্যপটে দেখা যাচ্ছে না।
বিরোধী দলের আনা অনাস্থা প্রস্তাবটি শুক্রবার পার্লামেন্টে ওঠার কথা থাকলেও স্পিকার অধিবেশন মুলতবি করায় তা পিছিয়ে যায়। সেটি এখন সোমবার অধিবেশনে উপস্থাপন করা হবে এবং এর ওপর সাত দিন বিতর্কের পর চূড়ান্ত ভোটাভুটি হবে।
ইমরান খানের সরকারের জোটে থাকা তিনটি বড় শরিক দল ইঙ্গিত দিয়েছে, পার্লামেন্টের অনাস্থা ভোটে তারা বিরোধী দলের পক্ষে থাকতে পারে, যা সরকারের পতন ঘটাতে যথেষ্ট।
বিরোধী নেতারা এমন দাবিও করেছেন যে, ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের ডজনখানেক সদস্যও অনাস্থার পক্ষে সমর্থন দিতে পারেন। দলটির অন্তত ডজনখানেক আইনপ্রণেতা মূল্যস্ফীতি সামাল দিতে না পারার জন্য নেতার দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।
পাকিস্তানে কোনো প্রধানমন্ত্রীর পুরো মেয়াদ ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড নেই। ইমরান যদি আস্থা ভোটে উৎরাতে ব্যর্থ হন, সেই রেকর্ড আরও দীর্ঘায়িত হবে।
ক্রিকেট মাঠ থেকে রাজনীতিতে এসে প্রধানমন্ত্রী বনে যাওয়া ইমরান অবশ্য পদত্যাগের দাবি প্রত্যাখান করেছেন। তার দাবি, বিরোধীদের কর্মকাণ্ডে তার জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে।