মীমাংসার সালিশে নাগরিক কমিটির তিন নেতাকে মারধর

আইন-আদালত ক্রাইম নিউজ জনদুর্ভোগ তথ্য-প্রযুক্তি পুরুষ পুরুষ নির্যাতন প্রচ্ছদ মুক্তমত রাজনীতি স্বাস্থ্য কথা হ্যালোআড্ডা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী নির্যাতনের মামলা মীমাংসার সালিশে কথা কাটাকাটির জেরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ও চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আতাউল্লাহসহ তিন নেতাকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রোববার সন্ধ্যায় জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। পরে সেনাবাহিনীর একটি দল আদালত চত্বরে আসে।

এ ঘটনায় আহত অপর নেতারা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সংগঠক জিহান মাহমুদ ও সদর উপজেলার সংগঠক হাসান নাসিমুল ওরফে রাসেল।

এ ঘটনার পর আদালত চত্বরে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করে আহত আতাউল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, আমাদের এক সহযোদ্ধাকে একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই বিষয়ে আমি আদালতে এসেছিলাম। সেখান এক সহকর্মী বলেন- তার এক আত্মীয়ের একটি সালিশি সভা হচ্ছে, সেখানে যেতে আমি তার সঙ্গে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে যাই। সেখানে যাওয়ার পর আমাদের সঙ্গে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা হচ্ছিল। একপর্যায়ে একজন আমাকে নাগরিক কমিটির নেতা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। নাগরিক কমিটির কথা বলার পর আমাকে মারধর শুরু করে। সেখানে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল সামনে ছিলেন, তার ইশারাতে আমাদের ওপর হামলা করা হয়। একপর্যায়ে সাধারণ সম্পাদক বের হয়ে কক্ষের লাইট বন্ধ করে সবাই বেদম মারধর করে। এ অবস্থায় আমি পুলিশ সুপারকে (এসপি) কল দেই, তখনও তারা আমাদের মারধর করছিল। তারা মারার সময় বলছিল- নাগরিক কমিটি কেন এখানে এসেছিস, তারা নাগরিক কমিটির ওপর খুব ক্ষুব্ধ।

আতাউল্লাহর সঙ্গে আহত হওয়া জিহান মাহমুদ বলেন, আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক। আমরা উনার কক্ষে প্রবেশ করার পরই খারাপ ব্যবহার শুরু করেন। তখন নাগরিক কমিটির নাম শুনে তারা আরও খারাপ ব্যবহার করেন। তারা আমাদের ওপর চড়াও হন। সেখানে এই অবস্থায় রাসেল ফেসবুক লাইভ দেয়, লাইভ দেওয়ার পর আরও বেশি মারধর করা হয়।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুলের মোবাইল ফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান বলেন, আদালতে রাবেয়া খাতুন ও হাবিবুল্লাহর মাঝে একটি মামলা চলমান রয়েছে। রাবেয়া খাতুন তার স্বামী হাবিবুল্লাহর বিরুদ্ধে আদালতে যৌতুক সংক্রান্ত মামলা দায়ের করেছেন। বাদী রাবেয়া খাতুন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আতাউল্লাহর সম্পর্কে খালা হন। আজকে দুপক্ষের উকিল নিয়ে মীমাংসার জন্য বসেছিলেন। এটি ছিল সম্পূর্ণ পারিবারিক বিষয়, কোনো রাজনৈতিক বিষয় ছিল না। সেখানে দুইপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও মারামারি হয়। এই ঘটনায় আতাউল্লাহসহ তিনজন আহত হন। আমি এসে তাদেরকে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

আরো পড়ুন : মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ভূঁইয়া’র মুখে ১৯ হাজার গেরিলা ও আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের গল্প

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *