স্থানীয় পর্যায়ে একটি দলের নেতাকর্মীরা আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল কাদের।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সমন্বয়ক আব্দুল কাদেরের পোস্টটি oknews24bd.com এর পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
‘মব জাস্টিস কখনোই সমর্থনযোগ্য না; কিন্ত মানুষের এহেন কর্মকাণ্ডের পেছনের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের কারণটাও আপনাকে ধর্তব্যের মধ্যে রাখতে হবে। এক মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট দিয়ে বিগত শাসনামলে চুরিচামারি, গুম-খুন, লুটতরাজের বৈধতা দেওয়া হয়েছিল। এদের লাগামহীন অত্যাচার-অনাচারে মানুষ অতিষ্ঠ। এখন এদের বিচারের আওতায় আনতে না পারলে, নির্যাতিত জনতা সুযোগ পেলে আইন নিজেদের হাতে তুলে নেবে।
কিন্তু খুনি এবং তাদের দোসরদের আইনের আওতায় আনার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দুই জায়গায়- প্রথমত, স্থানীয় পর্যায়ে একটা দলের নেতাকর্মীরা লীগের সন্ত্রাসীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। ৫ তারিখ বিকাল থেকেই তাদের ডিউটি শুরু হয়ে গেছে। টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের বাড়ি-গাড়ি, সহায়-সম্পত্তি তারা পাহারা দেওয়া শুরু করছে।
তাদের ছত্রছায়ায় লীগের সন্ত্রাসীরা এখন প্রকাশ্যে দোর্দণ্ডপ্রতাপে ঘুরে বেড়াচ্ছে। স্থানীয় পর্যায়ের এই যে শেল্টার বাহিনীর কথা বলেছি, তারা আবার স্থানীয় পর্যায়ের মাফিয়া। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অনেক ক্ষেত্রে এদের সবাইকে নিয়মনীতির গণ্ডির মধ্যে আনা দলীয় হাইকমান্ডের পক্ষে দুষ্কর হয়ে যায়। তবে এহেন কর্মকাণ্ড থেকে দল কোনো না কোনোভাবে যেহেতু বেনিফিট পায়; সেজন্য দায় এড়ানোরও সুযোগ নাই।
দ্বিতীয়ত, ছাত্র এবং অন্য রাজনৈতিক দলগুলো মিলে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করছে, সেই সরকারেরও ব্যর্থতা আছে। তারা খুনি এবং দুর্নীতিবাজদের বিচারের আওতায় আনতে পারছে না। সরকারের এই ব্যর্থতার পেছেনেও আবার স্থানীয় পর্যায়ে ‘শেল্টার কালচার’-এর প্রভাব আছে। আবার যে পুলিশ প্রশাসন বিচার প্রক্রিয়ায় কাজ করবে, তারাও রিসেন্ট হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত হওয়ার কারণে অনেকেই নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। এদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যারা দায়িত্বে আছেন, তারাও বিপ্লব-পরবর্তী পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পালনের জন্য উপযোগী নন’।
আরো পড়ুন : আসাদ মস্কোতে আটক এবং তার সম্পদ জব্দ করার প্রতিবেদন ভিত্তিহীন