রমজানের প্রথমদিনই গ্যাসের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। রোববার সকাল থেকেই চুলা জ্বলেনি রাজধানীসহ আশেপাশের এলাকায়। গ্যাস না থাকায় অধিকাংশ কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।
জানা গেছে, শেভরনের মালিকানাধীন বিবিয়ানা গ্যাস ক্ষেত্র কারিগরি সংস্কারের কাজ করার কারণে রোববার দিবাগত রাত থেকে গ্যাস উৎপাদন ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ায় এই সঙ্কট দেখা দিয়েছে। গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় কমেছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। এর ফলে সাধারণ জনগণের ভোগান্তি দ্বিগুণ হয়েছে।
হঠাৎ করে গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে রাজধানীসহ আশেপাশের এলাকার সাধারণ মানুষ। প্রথম রমজানের ইফতার তৈরিতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে ঘরে ঘরে।
রাজধানীর মগবাজার এলাকার বাসিন্দা মসিউর রহমান বলেন, সকাল থেকে গ্যাসের চাপ ছিলো না। টিম টিম করে চুলা জ্বলছিল। দুপুরের পর থেকে চুলা একবারেই জ্বলেনি। বাধ্য হয়ে দোকান থেকে ইফতার কিনে আনতে হয়েছে। হাতিরপুল থেকে একইরকম অভিযোগ এসেছে এক গৃহিনীর কাছ থেকে। মাদাটেক এলাকার এক ছাত্রী বলেন, আম্মু দুপুর থেকে ইফতারির সব কিছু কেটে রেডি করে বসে ছিলেন, কিন্তু গ্যাস না থাকায় শেষ পর্যন্ত ইফতারির আগ মুহুর্তে দোকান থেকে কিনে এনে কোন প্রকারে ছোট ভাইটাকে নিয়ে ইফতার সারলাম।
এ বিষয়ে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডে জরুরি রক্ষাণাবেক্ষণের জন্য বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপ দেখা যেতে পারে। অভিজ্ঞ প্রকৌশলীরা মেরামতের কাজ করে যাচ্ছেন। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে আশা করা যাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গ্যাস সরবরাহের ঘাটতিজনিত কারণে কিছু কিছু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বিঘ্ন ঘটছে। ফলে কোন কোন এলাকায় সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে। এই অসিুবিধার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।
আরো পড়ুন :১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের গ্যাসে এখন এক হাজার ৪৩৯ টাকা