গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নে অবৈধভাবে গড়ে উঠা কাঠ পুড়ে কয়লা তৈরী কারখানা বন্ধ করার দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান করেছে স্থানীয় নাগরিক কমিটি।
গত ১৯ এপ্রিল (মঙ্গলবার) দুপুর ১২ টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ হোসেনের মাধ্যমে পরিবেশ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় পরিচালক বরাবরে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন গোবিন্দগঞ্জ নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এম এ মতিন মোল্লা, যুগ্ন আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন আকন্দ, উপজেলা কমিউনিষ্ট পার্টির নেতা দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা ডাঃ আব্দুল ওয়াদুত, ভোক্তা মঞ্চের সভাপতি আলমগীর হোসেন, নাগরিক সমাজের শাহ আলম সরকার সাজু, চ্যানেল আই গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি ফারুক হোসেন, সাংবাদিক সাবু প্রধান প্রমূখ।
উল্লেখ যে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নে ৫/৬ টি স্থানে ৪০/৫০টি চুল্লী স্থাপন করে কাঠ পুড়ে কয়লা তৈরী করে কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি এ অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। গত বছর সাপমারা ইউপিসহ মহিমাগঞ্জে এ অবৈধভাবে গড়ে উঠা কারখানা গড়ে উঠলে গোবিন্দগঞ্জ নাগরিক কমিটির আন্দোলনের কারনে পরিবেশ অধিদপ্তর রংপুর ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় এসব বন্ধ করে দেয়। কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর নতুন করে এসব কাঠ কয়লা কারখানা লাগামহীনভাবে গড়ে উঠেছে। এতে করে এলাকার গাছপালা বনভূমি উজাড় হচ্ছে এবং হুমকির মধ্যে পড়েছে এলাকার পরিবেশ প্রকৃতি, ফসল ফলমূল ও জনস্বাস্থ্য। এর প্রভাবে আমের মুকুল ঝড়ে পড়েছে, কাঁঠালের উৎপাদনও কমে গেছে। এছাড়াও মানুষের শ্বাসকষ্ট সহ নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এলাকাবাসী এদের দাপট ও প্রভাবে মুখ খুলতে পাচ্ছেনা।
এলাকার পরিবেশ প্রকৃতি, জনস্বাস্থ্য, কৃষকের ফসল ও মৌসুমি আম কাঠাল ফল রক্ষায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা এসব কাঠ কয়লা কারখানা বন্ধ করার দাবী জানিয়ে গোবিন্দগঞ্জ নাগরিক কমিটি স্মারকলিপি প্রদান করেছে।
ফারুক হোসেন, গাইবান্ধা
অঅরো পড়ুন : এত দূর গড়াল কেন শিক্ষার্থী–ব্যবসায়ীর সংঘর্ষ!