নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা কলেজ এলাকায় বিকেল পাঁচটার দিকে ককটেল বিস্ফোরিত হলে পুরো নিউমার্কেট এলাকার দোকানগুলো বন্ধ হয়ে যায়, ফাঁকা হয়ে যায় রাস্তা, পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বুধবার ইফতারের আগে নিউমার্কেট এলাকা
ঢাকা কলেজ এলাকায় বিকেল পাঁচটার দিকে ককটেল বিস্ফোরিত হলে পুরো নিউমার্কেট এলাকার দোকানগুলো বন্ধ হয়ে যায়, ফাঁকা হয়ে যায় রাস্তা, পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আরো পড়ুন : শিক্ষার্থী–ব্যবসায়ীর সংঘর্ষে হল বন্ধের ঘোষণায় অবরুদ্ধ ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ
ঢাকার নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা আগামীকাল বৃহস্পতিবার দোকান খুলতে চান। আজ বুধবার নিউ মার্কেট এলাকার আশপাশের বিপণীবিতানগুলোর কিছু দোকান খুললেও নিউ মার্কেটের কোনো দোকান খোলেনি। সারা দিন এ এলাকার পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও বিকেল পাঁচটার দিকে ঢাকা কলেজ এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপর আর দোকান খোলেননি নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা।
আরো পড়ুন : এত দূর গড়াল কেন শিক্ষার্থী–ব্যবসায়ীর সংঘর্ষ!
গত সোমবার মধ্যরাতে নিউমার্কেটের দোকানমালিক ও কর্মচারীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষ হয়। এর জেরে গতকাল মঙ্গলবার দিনভর ওই এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে এক পথচারী নিহত হন। আহত হন আরও অনেকে। গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুই পক্ষ সড়ক ছেড়ে যাওয়ার পর ওই এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আরো পড়ুন : শিক্ষার্থী–ব্যবসায়ীর মধ্যে সংঘর্ষ কিছুক্ষণের মধ্যেই ‘কুল ডাউন’ হবে
সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত নিউমার্কেটের দোকান মালিক ও কর্মচারী এবং ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের কেউ রাস্তায় নামেননি। এই পরিস্থিতিতে বিকেলে ঢাকা নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন দোকান খোলার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরপর আশপাশের মার্কেটগুলোর দোকান খুলতে শুরু করে।
আরো পড়ুন : শিক্ষার্থী–ব্যবসায়ীর মধ্যে সংঘর্ষ সকালে; পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ল দুপুরে
কিন্তু বিকেল পাঁচটার দিকে ঢাকা কলেজের পাশে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এরপর যান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। ককটেল বিস্ফোরণের পর ঢাকা কলেজ থেকে ৬০ থেকে ৭০ জনের একটি দল বের হয়ে আসে। পরে পুলিশের অনুরোধ ঢাকা কলেজের শিক্ষকেরা এসে শিক্ষার্থীদের ভেতরে নিয়ে যান। এ ঘটনার আধা ঘণ্টা পর এ সড়কে আবার যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
আরো পড়ুন : শিক্ষার্থী–ব্যবসায়ী সংঘর্ষে সাংবাদিকদের পেটাচ্ছেন দোকানকর্মীরা
তবে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের আর দোকান খোলা হয়নি। সন্ধ্যা সাতটার দিকে নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন প্রথম আলোকে বলেন, আশপাশের অন্যান্য বিপণীবিতান খুললেও নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা এখনো দোকানপাট খোলেনি। নিউমার্কেটের চারটি প্রধান ফটক এখনও বন্ধ আছে। এখন মার্কেটের দোকানগুলো পরিষ্কার ও গোছগাছ করা হচ্ছে।
আমিনুল ইসলাম শাহীন বলেন, ‘আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের পরে আমরা সন্ধ্যা নাগাদ মার্কেট খোলার একটা সিদ্ধান্ত ছিল আমাদের। কিন্তু সন্ধ্যার দিকে আবার ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। এখন আবার তারাবীর সময় শুরু হয়েছে। তাই সবার সঙ্গে কথা বলে ও গোছগাছ শেষ করে আগামীকাল থেকে নিউ মার্কেটের সব দোকান খুলবে বলে আশা করছি।’
এদিকে বিরোধ নিরসনে আজ ইফতারের পর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
আরো পড়ুন : জনগণের ওপর নতুন করে করের বোঝা চাপানো হবে না