ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) দলটির সর্বোচ্চ নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সাজা বাতিল অথবা স্থগিত করার বিষয়টি বিবেচনা করছে। আর সেটা করতে ফেডারেল ও প্রাদেশিক সরকারের বিদ্যমান আইনি বিধান প্রয়োগ করা হবে।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে এসব কথা বলেন। ওই টিভি চ্যানেলের বরাতে এই খবর প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন।
রানা সানাউল্লাহ বলেন, কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তির সাজা বাতিল অথবা স্থগিত করার ক্ষমতা ফেডারেল এবং পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকার- উভয়ের আছে। এ ছাড়া পূর্বে ‘ভুলভাবে’ সাজা দেওয়া হলে সেই অভিযুক্তের মামলা আদালতে নতুন করে শুনানির সুযোগ দেওয়ার ক্ষমতাও এই ফেডারেল এবং পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকারের রয়েছে।
তিনি বলেন, পিএমএল-এন’র সর্বোচ্চ নেতা নওয়াজ শরিফ ও অন্যদের ছাড়ের ক্ষেত্রে এই বিধান ব্যবহার করা যেতে পারে। যদিও সানাউল্লাহ বলেছেন, নিজের স্বাস্থ্যগত অবস্থার ওপর ভিত্তি করেই দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেবেন নওয়াজ শরিফ। ২০১৯ সালে চিকিৎসার কথা বলে লন্ডনে গিয়ে স্বেচ্ছানির্বাসিত জীবনযাপন করছেন তিনি।
এ ছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওই টেলিভিশনকে নির্বাচনের পরপরই প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রীকে শপথ পড়ানোর জন্য প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে ক্ষমতা দিতে সংবিধান বা সংশ্লিষ্ট আইনের সংশোধনীর ইঙ্গিত দেন। নির্বাচিত হওয়ার পরপরই যেন শপথের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতি বা গভর্নরের হাতে না যায় সেজন্য এই সংশোধনীর কথা বলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট নওয়াজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী পদে অযোগ্য ঘোষণা করেন। দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে সাজাভোগের সময় চিকিৎসার কথা বলে তিনি লন্ডনে যান। পরে সেখানে স্বেচ্ছায় নির্বাসিত জীবনযাপন করতে থাকেন নওয়াজ। এদিকে তাকে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া ‘বড় ভুল’ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
আরো পড়ুন : দলের নাম ভাঙিয়ে যারা পরীক্ষিত নেতাদের নিগৃহীত করে এমন দুর্বৃত্তদের জায়গা আওয়ামী লীগে নেই