রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি: নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার পর্যটন এলাকার সাহারখোলা মেঘনা পাড়ে মঙ্গলবার ঈদুল ফিতরের দিন বিকেলে স্থানীয় দুই গ্রামের যুবকরা টেঁটা ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় তাদের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী চলে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা। এতে উভয় পক্ষের ৪ থেকে ৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে খবর পেয়ে রায়পুরা ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন গিয়ে উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার মধ্যে আগত দর্শনার্ধীদের স্থানটি ত্যাগের নিদের্শ দেন। পরে সন্ধ্যায় রায়পুরা থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান।
স্থানীয় সূত্রে জানান গেছে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুর থেকে সাহারখোলা মেঘনার পাড়ে দর্শনার্ধীরা ভিড় জমায়। বিকেলে শ্রীনগর ইউনিয়নের আব্দুল্লাহ্চর ও রায়পুরা ইউনিয়নের সাহারখোলা গ্রামের যুবকদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তর্ক হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরই জেরে ওই দুই গ্রামবাসীর দুই শতাধিক লোক টেঁটা ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় তাদের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার হয়। এতে উভয় পক্ষের ৪ থেকে ৫ জন আহত হয় বলে জানা গেছে।
রায়পুরা ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন জানান, আমি অসুস্থ। সারাদিন বাড়িতে বিশ্রামে ছিলাম। সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয় পক্ষকে শান্ত করি। এ নিয়ে শ্রীনগর ইউপি সদস্য আবুল হোসেনের সঙ্গে আমাদের ফোনে কথা হয়েছে। পরবর্তীতে উভয় পক্ষ বসে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে। এ ঘটনার পর জানমালের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দর্শনার্ধীদের স্থানটি ত্যাগের অনুরোধ করি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।
রায়পুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোবিন্দ সরকার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরো পড়ুন : দিন দিন ডিজিটাল ‘ঈদ সালামি’ জনপ্রিয় হচ্ছে