নিজস্ব প্রতিবেদক : গ্রামীণ টেলিকম ও এর প্রতিষ্ঠাতা শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা সব মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। লভ্যাংশের অর্থ প্রদানের দাবি নিয়ে করা ১১০টি মামলার সব কটিই সমঝোতার পর আদালত থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। ১১০টি মামলার মধ্যে ১০৪টি শ্রম আদালতে ও ৬টি উচ্চ আদালতে করা হয়েছিল।
গ্রামীণ টেলিকমের অবসায়ন চেয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করা অবসায়ন আবেদন না চালানোর কথা হাইকোর্টের কোম্পানি বেঞ্চে জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার তা খারিজ হয়। এ ছাড়া অপর একটি দ্বৈত বেঞ্চে থাকা পৃথক পাঁচটি আবেদনও খারিজ হয়।
গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী বলেন, লভ্যাংশের পাওনা অর্থ দাবি নিয়ে সম্প্রতি গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের একটি সমঝোতা হয়। সমঝোতা অনুযায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মামলা প্রত্যাহার করে নিলে মালিকপক্ষ আইন অনুযায়ী তাঁদের সমুদয় পাওনা পরিশোধ করবে। ২০১০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৭৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সর্বমোট পাওনা টাকার পরিমাণ আনুমানিক ৪৩৭ কোটি টাকা। এ অনুযায়ী মামলাগুলো না চালানোর কথা আদালতে বলা হয়। উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে সব মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
গ্রামীণ টেলিকমের অন্যতম আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের মুনাফার অংশ দাবি করে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মামলাগুলো করেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এবং গ্রামীণ টেলিকম ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ওই দাবির বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছে। ইতিমধ্যে কিছু টাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিশোধ করা হয়েছে। বাকি টাকা পরিশোধ করা হবে। কোম্পানি ও ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো তাঁরা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
আরো পড়ুন : আজ ২৪ মে; আজকের দিনে জন্ম-মৃত্যুসহ যত ঘটনা