বন্যা ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহযোগিতা করতে চায় ভারত

আন্তর্জাতিক জনদুর্ভোগ প্রচ্ছদ রাজনীতি হ্যালোআড্ডা

বাংলাদেশে বন্যা ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহযোগিতা করতে চায় ভারত। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর গতকাল রবিবার বিকেলে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে এ কথা জানান। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সহমর্মিতা ও সমর্থন জানান। জয়শঙ্কর বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলও বন্যাকবলিত। বাংলাদেশ ও ভারত বন্যা ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত তথ্য-উপাত্ত বিনিময় করছে।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই আমরা ৫৪টি অভিন্ন নদ-নদীর অংশীদার। আমাদের নদ-নদী, সুন্দরবনসহ পরিবেশ সংরক্ষণ ও সমন্বিত ব্যবস্থাপনা আমাদের অভিন্ন দায়িত্ব। জলবায়ু উদ্যোগের প্রতি অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে আমাদের এসব খাতে একসঙ্গে কাজ করা উচিত। ’

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর বাংলাদেশের সঙ্গে নতুন নতুন খাতে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি এ ক্ষেত্রে ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স’, সাইবার নিরাপত্তা, স্টার্টআপ ও ফিনটেকের মতো সম্ভাবনাময় খাতের কথা উল্লেখ করেন।

এদিকে জেসিসি বৈঠক শেষে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, দুই দেশের সম্পর্ক কৌশলগত ধারণাকেও ছাড়িয়ে গেছে। এই সম্পর্ককে দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক সম্পর্কের ‘রোল মডেল’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। কভিড মহামারি সত্ত্বেও দুই দেশের নিবিড় সম্পর্কে উভয় পক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

জেসিসি বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অভিন্ন নদী ও পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, তথ্য-প্রযুক্তি ও সাইবার নিরাপত্তা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, টেকসই বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরো গভীর ও জোরদার করতে একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন। উভয় মন্ত্রী তাঁদের কর্মকর্তাদের সহযোগিতা ত্বরান্বিত করার দায়িত্ব দিয়েছেন। তাঁরা দুই দেশের জনগণের পারস্পরিক সুবিধার জন্য বিদ্যমান সমস্যাগুলোর টেকসই সমাধান খোঁজার দিকে আরো মনোযোগী হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।

বৈঠকে উভয় পক্ষই মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের নিরাপদ, দ্রুত এবং টেকসই প্রত্যাবর্তনের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছে। জেসিসির পরবর্তী বৈঠক আগামী বছর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে বলে যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন নয়াদিল্লি সফরে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডুর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন। তিন দিনের সফর শেষে আজ সোমবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।

আরো পড়ুন : আজ ২০ জুন; আজকের দিনে জন্ম-মৃত্যুসহ যত ঘটনা

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *