গাইবান্ধার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ৪ উপজেলার ১২৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

জনদুর্ভোগ জাতীয় প্রচ্ছদ শিক্ষা হ্যালোআড্ডা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ঘাঘট নদীর পানি ২৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্রের পানি ৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সরকারি হিসেবে জেলার চারটি উপজেলার ২৩টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি রয়েছে প্রায় ৫৭ হাজার মানুষ। এদিকে মাঠে ও শ্রেণিকক্ষে পানি ওঠায় গাইবান্ধার নদী তীরবর্তী চারটি উপজেলার ১২৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সরেজমিনে মঙ্গলবার সকালে ফুলছড়ি উপজেলার ফুলছড়ি ইউনিয়নের চরপিপুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, মাঠে ও টিনসেড বিদ্যালয়টির চারদিকে হাঁটু পানি। তাই পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, নদী ভাঙনের কারণে বিদ্যালয়টি কয়েকবার স্থানান্তর করা হয়। তাই টিনসেড ঘরে পাঠদান চলে।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. এনায়েত আলী এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন আলী জানান, মাঠে ও শ্রেণিকক্ষে পানি ওঠায় গত ১৮ জুন থেকে জেলার সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার এসব প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরমধ্যে ১১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু রায়হান বলেন, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুসারে আপাতত গাইবান্ধায় বড় বন্যা হবার সম্ভাবনা নেই।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম ফয়েজ উদ্দিন বলেন, ওই চারটি উপজেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ৮০ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে এক হাজার ৯০০ জন বন্যাকবলিত মানুষ বসবাস করছেন।

আরো পড়ুন : মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে সহযোগীতায় ভোলাহাটে চার জয়িতার গল্প

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *