নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা ঝুঁকির কারণে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ১৪ দিন চিকিৎসা শেষে আজ শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপারসনের জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়ার পর রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতাল ত্যাগ করেন তিনি। বিকেল সাড়ে ৫টায় হাসপাতাল থেকে বের হয়ে ৬টা পাঁচ মিনিটে বাসায় পৌঁছান তিনি।
মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার হাসপাতালকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, করোনার সংক্রমণ বাড়ার কারণে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে রাখা যাচ্ছে না।
এখন তাঁর করোনা হলে ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে চলে যাবেন। তাই পূর্ণাঙ্গ মেডিক্যাল বোর্ড তাঁকে বাসায় রেখে চিকিৎসা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শাহাবুদ্দিন বলেন, খালেদা জিয়া এখনো অসুস্থ। তবে স্থিতিশীল আছেন। লিভার সিরোসিসের কারণে তিনি আবার রক্তক্ষরণের উচ্চঝুঁকিতে আছেন। তবে কিডনি জটিলতা কাটানো সম্ভব হয়েছে। এখনো তাঁর হৃৎপিণ্ডে দুটি ব্লক রয়ে গেছে।
৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া তীব্র বুকে ব্যথা নিয়ে গত ১০ জুন গভীর রাতে বসুন্ধরায় এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে দ্রুত এনজিওগ্রাম করে তাঁর হৃদযন্ত্রে একটি স্টেন্ট বসানো হয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান বলেন, আন্তর্জাতিক নির্দেশনা হলো যেই রক্তনালির ব্লকের কারণে সমস্যা হচ্ছে ওইটা অপসারণ করে রোগীকে বাঁচানো। যাদের অন্য রক্তনালির ব্লক অপসারণ না করলে মৃত্যুর ঝুঁকি আছে অথবা রোগীর কিডনি, লিভার বা হৃদযন্ত্রের অন্য কোনো সমস্যা নেই তাদের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় ব্লক অপসারণ করা হয়।
মেডিক্যাল বোর্ড সদস্য অধ্যাপক এ এফ এম সিদ্দিকী বলেন, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিরের ফলোআপ করা হয়নি ছয় মাসে। তাঁর আবার রক্তক্ষরণের আশঙ্কা আছে। প্রযুক্তিগত নানা সীমাবদ্ধতার কারণে তাঁর সুষ্ঠু চিকিৎসা এ দেশে সম্ভব নয়। সেটা বিশ্বের কিছু দেশে উন্নত সেন্টারে করতে পারলে ভালো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য ডা. এ জে এম জাহিদ হোসেন, ডা. শেখ ফরিদ আহমেদ, ডা. মো. জাফর ইকবাল, ডা. আল মামুন এবং হাসপাতালের মেডিক্যাল প্রমোশন বিভাগের প্রধান বিনয় কাউল উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন : ত্রাণ বিতরণে পুলিশের ধমক খেয়ে পুলিশের সহযোগীতা পেলেন তাশরীফ