ক্বাসিদাহ অর্থ- ছন্দের মাধ্যমে প্রিয়জনের প্রশংসা করা। প্রিয়জন বলতে যখন যে প্রেক্ষাপটে যিনি প্রিয়। যেমন ইবাদতের ক্ষেত্রে মহান রব হলেন প্রিয়, সুন্নত পালনের ক্ষেত্রে মহানবী হলেন প্রিয়, কখণও বাবা প্রিয়, কখণও মা প্রিয়, কখণও সৃষ্টির ̧গান গাইতে সৃষ্টিকর্তা প্রিয়। অর্থাৎ যখন যে প্রেক্ষাপটে যিনি প্রিয়জন থাকেন তাঁর প্রশংসা ছন্দের মাধ্যমে প্রকাশ করাকেই ক্বাসিদাহ বলে।ঠিক যে সময়ে যুব সমাজ অপসংস্কৃতির ভয়াল থাবায় নিমজ্জিত, ঠিক ঐ সময়ে বাংলাদেশে ইসলামিক সংস্কৃতি বিকাশের লক্ষে ̈ একদল যুব সমাজ নতুন করে আরেকটি ফ্লাটফর্ম গঠন করে ২৪.০৬.২০২২ তারিখে মিরপুরস্থ কে- ৭/এ, বর্ধিত পল্লবীতে “ক্বাসিদাহ” নামে প্রতিষ্ঠানটির এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্ভোধন করে।
অনুষ্ঠানটিতে দেশ বরেণ্য বেশ কয়েকজন নাশিদ শিল্পী, লেখক, গীতিকার, সুরকার, সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারসহ বিভিন্ন কলা কুশলী অতিথি হয়ে উপস্থিত ছিলেন। অতিথিদেরকে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ হতে সন্মাননা স্বাারক μেষ্ট প্রদান করা হয়েছে।
অতিথিগণ তাদের অনুভ‚তি প্রকাশ করতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটির সফলতা কামনা করেছেন এবং তাদের সম্পৃক্ততা থাকার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেছেন।
প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম ̈ান জনাব মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, “ক্বাসিদাহ” তে শুধুমাত্র ইসলামিক গানের চর্চা-ই হবে না বরং ছোট শিক্ষার্থীদের কে পবিত্র কোরআন শিক্ষায় উদ্বোধ্য এবং নীতি নৈতিকতা শিক্ষায় প্রতিষ্ঠানটি ভ‚মিকা পালন করবে।
সমাজের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট বিবেচনায় শর্ট ফিল্ম তৈরি করেও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে ̈ “ক্বাসিদাহ” কাজ করবে। এতে করে সূদুর প্রসারে সমাজে একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। কারণ মানুষ যদি নীতি নৈতিকতার প্রয়োজনীয়তাই নিজের উপলব্দিতে নিতে না পারেন তাহলে তার কাছে অনেক জগন্য কাজও স্বাাভাবিক মনে হবে। তাই ছোট বাচ্চাদের কে নীতি নৈতিকতা শিক্ষা দেওয়া অনেক বেশি ̧রুত্বপূর্ণ।মানুষের মনের সাংস্কৃতিক খোরাক জোগানের মাধ্যমে ইসলামিক সংস্কৃৃতি এক বিরাট বিপ্লব বয়ে আনতে পারে। ঐ লক্ষে ̈“ক্বাসিদাহ” নিরলস ভাবে কাজ করে যাবে।
“ক্বাসিদাহ”-তে যারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, তারা হলেন- মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, আবদুল আজিজ, রায়হানসিদ্দিকী, মেহরাব হোসেন, আবীর মোহাম্মদ রোশান, আরিফিন সাঈদ, ইয়াকুব রহমান, তাহমিদ এইচ তামিম এবং মারূফ মোহাম্মদ জিসান।
আরো পড়ুন : পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে গোমস্তাপুরে আনন্দ শোভাযাত্রা