নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। আজ রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১ হাজার ৬৮০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময় করোনায় মৃত্যু হয়েছে দুইজনের।
আগের দিন করোনা শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ২৮০ জনের। আর করোনায় মৃত্যু হয়েছিল তিনজনের।
টানা ২০ দিন দেশে করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি। ২০ জুন করোনায় একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর টানা চার দিন করোনায় একজন করে মৃত্যু হয়। মধ্যে এক দিন কারও মৃত্যু হয়নি। সর্বশেষ দুই দিনে তিনজন ও দুইজনের প্রাণ গেল এই ভাইরাসে।
আজ বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১০ হাজার ৭২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৬৬। আগের দিন এ হার ছিল ১৫ দশমিক শূন্য ৭।
এর আগে দেশে করোনা শনাক্তের হার ১০-এর ওপরে ছিল গত ১৭ ফেব্রুয়ারি, ১০ দশমিক ২৪। এরপর শনাক্তের হার ধারাবাহিকভাবে কমেছিল।
বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশে করোনা সংক্রমণের চিত্রে কয়েক দফা ওঠানামা করতে দেখা গেছে। করোনা পরিস্থিতি প্রায় সাড়ে তিন মাস নিয়ন্ত্রণে থাকার পর গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। করোনার নতুন ধরন অমিক্রনের প্রভাবে দ্রুত বাড়তে থাকে রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে নিয়মিতভাবে রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার কমেছে। দেশে সংক্রমণ কমে আসায় আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। তুলে নেওয়া হয় করোনাকালীন বিধিনিষেধ। ২৫ মার্চ থেকে ১২ জুন পর্যন্ত দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০০-এর নিচেই ছিল। এর পর থেকে তা প্রতিদিন বাড়তে থাকে।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় যে ১ হাজার ৬৮০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ১ হাজার ৫৭২ জন ঢাকা বিভাগের। এর মধ্যে ১ হাজার ৫১৩ জনই মহানগরসহ ঢাকা জেলার। বাকি বিভাগগুলোর মধ্যে চট্টগ্রামে ৬৪, ময়মনসিংহ, রংপুর ও খুলনায় ৪ জন করে, সিলেটে ৬, বরিশালে ১২ ও রাজশাহীতে ১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
সংক্রমণের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ১৭৩ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৮৮ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ১৪০ জনের।
দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা, ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ নীতি প্রয়োগসহ ছয় দফা ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সরকারের করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। পরামর্শের মধ্যে আরও রয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও জনসমাগম বর্জন করা। ধর্মীয় প্রার্থনার স্থানে (যেমন মসজিদ, মন্দির, গির্জা ইত্যাদি) সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
আরো পড়ুন : রহনপুর কুরআনের আলো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কমিটি গঠন