আফগানিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাকতিকা ও খোস্ত প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে অন্তত ১৫৫ জনে ঠেকেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা ওসিএইচএ গত রবিবার বলেছে, পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এই দুই প্রদেশে হওয়া ছয় মাত্রার ভূমিকম্পে সৃষ্ট ভূমিধসে আরো ২৫০ জন শিশুর আহত হওয়ার খবর মিলেছে। ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকতিকা প্রদেশের গায়ান জেলা। ভূমিকম্পে ৬৫ শিশু অনাথ হয়ে গেছে।
তালেবানের হিসাবে, ভূমিকম্পে মোট এক হাজার ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং কয়েক শ মানুষ আহত হয়েছে। তবে জাতিসংঘ বলছে, ৭৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ গতকাল সোমবার বলেছে, ভূমিকম্পে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া শিশুদের পুনর্মিলনের জন্য কাজ করা হচ্ছে। ভূমিকম্পে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত শিশুদের মানসিক চিকিত্সা দিতে গায়ান জেলায় ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে।
এদিকে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দীর্ঘ মেয়াদে ত্রাণ কার্যক্রম চালানোর দিকে মনোযোগ বাড়াচ্ছে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় সহায়ক সংস্থাগুলো। ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় সব জায়গায় প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছে গেছে। তবে মানবাধিকার সংকটে ভোগা আফগানিস্তানে দীর্ঘ মেয়াদে সহায়তা কার্যক্রম চালানোর বিষয়টি সীমিত বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
কাবুলে এক সংবাদ সম্মেলনে আফগান রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ডেপুটি প্রেসিডেন্ট নুরউদ্দিন তুরাবি বলেন, ‘আমাদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী বর্তমানে খাদ্যসামগ্রীর খুব একটা প্রয়োজন নেই। সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়োজন তা হলো অর্থ এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মৌলিক সামগ্রী কিনে তাদের জীবন পুনর্গঠন করা। ’
এই মানবাধিকারকর্মী আরো বলেন, ‘সহযোগীদের নিয়ে আমরা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করব। বর্তমানে তাঁবু, খাদ্য ও অন্যান্য সামগ্রীর মতো যথেষ্ট প্রাথমিক সহায়তা সরবরাহ করা হয়েছে। ’
ইউএনডিপির প্রতিনিধি আব্দাল্লাহ আল দারদারি বলেন, ‘যখন স্থানীয় অর্থনীতি পুনর্নির্মাণের বিষয়টি আসবে, তখন যেন সেটার কেন্দ্রে নারীরা থাকেন তা নিশ্চিত করতে হবে। ’
সূত্র : এপি, এএফপি
আরো পড়ুন : সাংবাদিকতায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সাংবাদিকদের ডাটাবেজ তৈরির উদ্যোগ