বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ নিজের দল জাতীয় পার্টির নেতাদের নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেছেন, দীর্ঘ ছয় মাস আমি থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। পার্টির কেউ খোঁজ নেয়নি আমার। আমি সবার খোঁজ নিয়েছি। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদের মৃত্যুর পর পার্টি এলোমেলো হয়ে পড়েছে।
শনিবার ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরসহ দলের শীর্ষ নেতাদের কেউ ছিল না।
কয়েকদিন আগে সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফেরেন তিনি। সাত মাস সিঙ্গাপুরে ছিলেন। দেশে ফিরে বৃহস্পতিবার সংসদ অধিবেশনে যোগ দেন। ফুসফুসের জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসা নিয়েছিলেন গত বছর।
সভায় জাতীয় পার্টির প্রধান এ পৃষ্ঠপোষক বলেন, পার্টির নেতারা খোজঁখবর না নিলেও সম্প্রতি দল থেকে যারা বহিষ্কৃত হয়েছেন, তারা খোঁজ নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যাদেরকে দল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে, তারাই আমার নিয়মিত খোঁজ রেখেছেন। মসজিদ, মাজারসহ বিভিন্ন উপাসনালয়ে দোয়া প্রার্থনা করেছে।’
দল পরিচালনায় স্বামী এরশাদের অনুপস্থিতির অভাব অনুভব করছেন জানিয়ে রওশন বলেন, ‘আজ পল্লীবন্ধু এরশাদ নেই। উনি থাকলে পার্টি অন্যরকম হতো। উনি নেই, তাই জাতীয় পার্টি আজ এলোমেলো হয়ে গেছে।
দলকে শক্তিশালী করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, যাদের দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, তাদেরকে ফিরিয়ে নিতে হবে। যারা চলে গেছে, তাদেরও ফিরিয়ে আনতে হবে। নতুবা আমরা অনেক পিছিয়ে যাব। নতুন প্রজন্মকে দলে আনতে হবে। দলকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমকক্ষ বানাতে হবে। নতুবা রাজনীতির টিকে থাকতে পারব না।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও এরশাদ ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশীদ, জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম মিলন, দেলোয়ার হোসেন খান, জিয়াউল হক মৃধা, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন রাজু। রাহগীর আল মাহি (সাদ এরশাদ), রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসিহ, জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হাবিবুর রহমান হবি, হাবিবুল্লাহ বেলালী, সভাপতমিণ্ডলীর সাবেক সদস্য এমএ সাত্তার সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন : আর্জেন্টিনার আদালতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে যাচ্ছেন রোহিঙ্গার একটি দল