৭ জুলাই পর্যন্ত সর্বশেষ হালনাগাদে সুইডেনে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩ জন বলে জানানো হয়েছে। ১৯ মে সুইডিশ পাবলিক হেলথ এজেন্সি দেশটিতে মাঙ্কিপক্স রোগের বিষয়ে প্রথম খবর দিয়েছিল। জুনের শেষের দিকে কর্তৃপক্ষের হালনাগাদ করার পর থেকে এ পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছে আরো ১৫ জন।
বেশিরভাগ সংক্রমণের খবর রাজধানী স্টকহোম অঞ্চল থেকেই পাওয়া গিয়েছে।
সংক্রমিতরা মূলত ২০ থেকে ৬০ এর মধ্যে বয়সের পুরুষ। ইউরোপিয়ান ইনফেকশন কন্ট্রোল এজেন্সির (ইসিডিসি) মতে, ৫ জুলাই পর্যন্ত ইউরোপে প্রায় ৬০০০ সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৯৯ শতাংশ পুরুষ। সংক্রমণের অর্ধেকেরও বেশি যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং স্পেনে ঘটেছে। এ পর্যন্ত মাঙ্কিপক্সে খুব কম লোকই গুরুতর অসুস্থ হয়েছে বলে ইসিডিসি জানায় ।
মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগীই ত্বকে ফোসকা পড়া, জ্বর, ক্লান্তি, পেশিতে ব্যথা, বমি এবং ঠান্ডা লাগার মতো উপসর্গের কথা বলেছে। প্রায় প্রতি দশজন সংক্রমিত ব্যক্তির মধ্যে একজনকে চিকিৎসা দিতে বা অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তবে এ পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর ঘটনা জানা যায়নি।
মাঙ্কিপক্স মানুষ ও অন্য প্রাণীর মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে। রোগটি প্রধানত মধ্য এবং পশ্চিম আফ্রিকায় ছড়িয়ে থাকে। এ বছরের বসন্তকালে আফ্রিকার বাইরে বিশ্বের নানা প্রান্তের বেশ কয়েকটি দেশে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ দেখা যায়। এই সংক্রমণ ছড়ানোর কারণ হিসেবে গবেষকরা প্রাথমিকভাবে পুরুষের সাথে পুরুষের যৌন সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেছেন।
আরো পড়ুন : এনা পরিবহনের নারী যাত্রী ছিটকে পড়ে মহাসড়কে, মাথার ওপর দিয়ে চলে যায় বাস