শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর থেকে: প্রাইভেট কারের ১৪০ স্প্রীড রাইটে দিনাজপুরে অকালে ঝরে গেলো তিন তরুনের প্রাণ। মুমূর্ষু আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আরো দু’জন।
ঘটনাটি ঘটেছে, মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২ টায় দিনাজপুর-দশমাইল মহা সড়কের ৭ মাইল নশিপুর এলাকায় মৃত্তিকা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামনে।
নিহতরা হলেন,বর্ণ বসাক (১৮), ইমন (২২) ও শাহরিয়ার শাওন (২৩)।
নিহত বর্ণ বসাক দিনাজপুর শহরের ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বালু মহাল ইজারাদার সুইহারী আশ্রম পাড়া এলাকার কপিল বসাকের ছেলে। মুন্সিপাড়া এলাকার মৃত নুরুল আমিন সিদ্দিকীর ছেলে ইমন এবং কসবা এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে শাহরিয়ার শাওন ।
এদের মধ্যে ইমন রাজধানী ঢাকার সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং শাওন সৈয়দপুর ক্যান্টন্মেট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী।
আহতরা হলেন-মুন্সিপাড়া এলাকার মাহাবুব আলমের ছেলে তামজিদ (১৯) ও বাহাদুর বাজার এলাকার ডিস লাইন ব্যবসায়ী মাহামুদুন নবি পলাশের ছেলে রওনাক নবী প্রিয় (২৩)।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে কোতয়ালি থানার এএসআই সৌরভ জানান, রাতে দশমাইল থেকে প্রাইভেট কারে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। সাত মাইল মোড়ে আসলে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের একটি ঘরের দেয়ালে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই বর্ন বসাকের মৃত্যু হয়। দিনাজপুর ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয়রা অন্যদের উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ইমনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্ত্যবরত চিকিৎসক।পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য শাওনকে জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করলে রাত আড়াইটার সময় তার মৃত্যু হয়।
আহতদের মধ্যে তামজিদ ও রওনাককে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
৫ তরুন ১৪০ কিলো স্প্রীডে প্রাইভেট কার রাইট করার সময় বাঁকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দিনাজপুর কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ ( তদন্ত) আসাদুজ্জামান হতাহতের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান,নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্যে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
অভিভাবকদের ভুলের কারণে অকালে ৩ তরুনকে প্রাণ দিতে হয়েছে বলে মন্তব্য করছে অনেকেই। যাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই,তাদের কাছে কার দেয়া যুক্তিসংগত নয় বলেও দাবি সচেতন মহলের। এ ঘটনায় শোকাহত দিনাজপুরবাসী।