নওগাঁ প্রতিনিধিঃ- নওগাঁর মান্দায় নিয়মিত চাকরি করেও ১৮ মাসের বেতনভাতা পাননি। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় বকেয়া বেতনভাতাসহ চাকরিতে পুনর্বহালের দাবী জানিয়েছেন আউটসোর্সিং এর মাধমে চতুর্থ শ্রেণীর রাজস্ব খাতের শুন্য পদে নিয়োগপ্রাপ্ত আট কর্মী।
আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে মান্দা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবী করেন মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আউটসোর্সিং এর ম্যাসেঞ্জার পদে নিয়োগপ্রাপ্ত জান্নাতুন ফেরদৌস।
সংবাদ সম্মেলনে জান্নাতুন ফেরদৌস জানান, ২০১৫ সালে আবেদনের প্রেক্ষিতে নওগাঁ জেলার ১১টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আউটসোর্সিং এর স্থায়ী পদে ৩৬ জনকে অফিস সহায়ক এবং অস্থায়ী পদে ৬ জনকে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে অফিস সহায়ক পদ পরিবর্তন করে ম্যাসেঞ্জার, ওয়ার্ডবয়, নিরাপত্তাকর্মী ও আয়া পদ সমন্বয়সহ অফিস আদেশ জারী করে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর এক অফিস আদেশে একই বছরের ১ ডিসেম্বরে নিয়োগপ্রাপ্তরা উক্ত পদসমূহে যোগদান করেন। এর প্রেক্ষিতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স সারমী ট্রেডার্স’ এর মাধ্যমে জেলা সিভিল সার্জন দপ্তর নিয়োগকৃতদের বেতনভাতার অর্থ ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত হাতে হাতে প্রদান করে। চাকরি করার পরও ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বেতনভাতা প্রদান করা হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে চাকরি হারানো শাহিনুর বেগম অভিযোগ করে বলেন, জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক সঙ্গে উল্লেখিত পদসমূহে ৪২ জনকে নিয়োগ প্রদান করা হয়। এদের মধ্যে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ৩৪ জনকে পুনর্বহাল করা হয়েছে।
কিন্তু রহস্যজনক কারণে মান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শহিমা আক্তার সুমী (ওয়ার্ডবয়), শাহিন আলম (নৈশপ্রহরী), রিমা খাতুন (আয়া), জান্নাতুন ফেরদৌস (ম্যাসেঞ্জার) ও শাহিনুর বেগম (ম্যাসেঞ্জার) ও শ্যামলী আক্তারকে আয়া পদে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। একইভাবে নিয়োগ বঞ্চিত করা হয়েছে সাপাহার ও পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আব্দুল হান্নান ও সাগর ইসলামকে।
অবিলম্বে এসব পদে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবী জানিয়েছেন নিয়োগ বঞ্চিতরা।
এ প্রসঙ্গে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বিজয় কুমার রায় বলেন, আউটসোর্সিং পদে তাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হয়েছিল। জেলা সিভিল সার্জন অফিস বিষয়টি তদারকি করেন। সিভিল সার্জনের মৌখিক নির্দেশে হাজিরা খাতায় তাদের স্বাক্ষর নেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। এর বেশী আমার জানা নেই।
মোঃ হাবিবুর রহমান, নওগাঁ