বিয়ানীবাজার (সিলেট) প্রতিনিধি: সিলেটের বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রের পরিত্যক্ত ১ নম্বর কূপে নতুন করে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি সমকালকে বলেন, সিলেট গ্যাসফিল্ডের বিয়ানীবাজারের একটি পুরোন কূপে সংস্কার (ওয়ার্কওভার) করার পর গ্যাসের সন্ধান পেয়েছি। তবে গ্যাস বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনযোগ্য কি না জানতে আরও পরীক্ষা চালাতে হবে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের (এসজিএফএল) কূপটিতে ওয়ার্কওভারের কাজ করেছে বাপেক্স। সূত্র জানিয়েছে, কূপের তিন হাজার ৪৫৪ মিটার গভীরতায় গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। গ্যাসের চাপ রয়েছে তিন হাজার ১০০ পিএসআই।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) জানিয়েছে, এখান থেকে দৈনিক ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশা করা হচ্ছে। এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর বিয়ানীবাজারের এই কূপে খনন কার্যক্রম শুরু হয়।
জানা গেছে, সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের অধীন বিয়ানীবাজার গ্যাস ক্ষেত্রে দুটি কূপ রয়েছে। এর মধ্যে ১ নম্বর কূপ থেকে ১৯৯৯ সালে উৎপাদন শুরু হয়। ২০১৪ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। ফের ২০১৬ সালে গ্যাস উৎপাদন শুরু হয়ে ওই বছরের শেষদিকে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে ওই কূপটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল।
বিয়ানীবাজার-১ কূপের ৩ হাজার ৪৫০ মিটার গভীর থেকে ৩৫ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়৷ বর্তমানে বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রে একটি কূপ থেকে প্রতিদিন ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস তোলা হচ্ছে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী শাহিনুর ইসলাম জানান, বিয়ানীবাজারের কূপ ছাড়াও গোলাপগঞ্জের কৈলাসটিলা-৮ ও গোয়াইনঘাট-১০ নম্বর কূপ খনন এবং রশিদপুরে একটি পাইপলাইন স্থাপন প্রকল্পের কাজ চলছে।
এ ছাড়াও দুটি প্রকল্পের আওতায় বিয়ানীবাজার ফিল্ড এবং ব্লক-১৩ ও ১৪-এর আওতায় ডুপিটিলা, বাতচিয়া, হারারগঞ্জ, জকিগঞ্জ ও সিলেট সাউথে ত্রিমাত্রিক সিসমিক জরিপ কাজ শেষের পথে।
আরো পড়ুন : ভোলাহাটে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে প্রনোদনা বিতরণ