গাজীপুর প্রতিনিধি: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি শুধু বলে তাদের সমাবেশে জনতার ঢল নেমেছে। গাজীপুরে আসেন ফখরুল ভাই। দেখুন, ঢল কাকে বলে। সিলেটে সুরমা নদীর ঢল। আর এখানে বঙ্গোপসাগরের উত্তাল তরঙ্গ। সিলেটের সঙ্গে গাজীপুরকে মিলিয়ে দেখুন। এখানে শুধু মহানগর, ওখানে ৫ জেলা। যেখানে সমাবেশ সেখানেই সারা দেশ থেকে সাত দিন আগেই কাঁথা, বালিশ, বিছানাপত্র হাঁড়ি-পাতিল নিয়ে রওনা দেন। বিএনপি ভালোই আছে। ওখানে শুধু খাওয়া আর খাওয়া। গরুর মাংস, খাসির মাংস আর মাছের টুকরা।’
শনিবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের ঐতিহাসিক রাজবাড়ি মাঠে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের উন্নয়ন দেখে বিএনপির মনে বড় জ্বালা, মির্জা ফখরুলের বুকে ব্যথা, বড় জ্বালা। কালো চশমা পরে কিছুই দেখতে পায় না। পদ্মা সেতু হয়েই গেলো, চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল প্রস্তুত। শেখ হাসিনা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন উন্নয়ন কাকে বলে। শেখ হাসিনা একদিনে একশ সেতু উদ্বোধন করেছেন। ফখরুল দেখে না, দিনে আলোতে অমাবশ্যার অন্ধকার দেখেন। তিনি বলেন, বিদেশিদের কাছে নালিশ করে করে বিএনপি এখন বাংলাদেশ নালিশ পার্টিতে পরিণত হয়েছে। বিদেশিদের কাছে নালিশ করে কোনো লাভ নেই।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা ক্ষমতার রঙিন খোয়াব দেখছে। খোয়াব দেখুন, আপত্তি নেই। দিবাস্বপ্ন তো ক’জনই দেখে। তবে নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা পরিবর্তনের কোনো বিকল্প নেই। দুনিয়ার সব দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবে হবে। শেখ হাসিনা সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না।
শনিবার গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন মহাসমাবেশে পরিণত হয়। সকাল থেকেই মহানগরের ৫৭টি ওয়ার্ড থেকে বিশাল বিশাল মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা রাজবাড়ি মাঠে জড়ো হতে থাকেন। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খানের সভাপতিত্বে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আপনারা (বিএনপি নেতারা) একটা মিছিলও করতে পারেন না। লজ্জা করে না? শেখ হাসিনা দয়া করে আপনাদের দণ্ডিত আসামি নেত্রীকে বাসায় থাকতে দিয়েছেন। বিএনপির আগুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে খেলা হবে। আপনারা প্রস্তত হয়ে যান। ভোট চুরি, দুর্নীতি-লুটপাট, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে খেলা হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, অ্যাভোকেট কামরুল ইসলাম, মির্জা আজম এমপি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, মেহের আফরোজ চুমকী এমপি, সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
প্রথম অধিবেশন শেষে দ্বিতীয় অধিবেশনের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আতাউল্লাহ মণ্ডলের নাম ঘোষণা করেন। গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠিত হওয়ার পর মহানগর আওয়ামী লীগ শাখার এটিই প্রথম সম্মেলন। এর আগে, ২০১৫ সালে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি গঠিত হয়।
আরো পড়ুন : যেখান থেকে স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টি গণতন্ত্র ফেরাতে সেখান থেকে যুদ্ধ শুরু