জামালপুর প্রতিনিধি: গত বছরের শেষ দিকে অশালীন ও শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্যের জেরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন ডা. মুরাদ। এরপর একে একে আওয়ামী লীগের সদস্য পদসহ দলীয় সব পদ হারান তিনি। এরপর থেকে এমপির রুটিন ওয়ার্ক ছাড়া দলীয় কোনো কর্মকাণ্ডে দেখা যায়নি তাকে।
তবে সোমবার জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে তাকে দেখা গেছে। সম্মেলনে এলেও কোনও বক্তব্য দিতে দেখা যায়নি তাকে।
জানা গেছে, সম্মেলনের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মঞ্চে ওঠার কিছুক্ষণ আগে ডা. মুরাদ তার কয়েকজন সমর্থককে নিয়ে মঞ্চের দিকে এগিয়ে আসেন। তিনি মঞ্চে উঠে পেছনের সারিতে বসেন। এ সময়ে তাকে দুয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে। সম্মেলন শেষে তিনি সভাস্থল ত্যাগ করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, খেলা হবে তৈরি আছেন তো? ডিসেম্বরে খেলা হবে। নির্বাচনে খেলা হবে। আন্দোলনে খেলা হবে। ১০ ডিসেম্বর খেলা হবে। মারামারি, পালটাপালটি, কোনো বাধা নয়। বিএনপি মিটিং করুক শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এটা আমরা চাই। আগুন আর লাঠি নিয়ে আসলে খেলা হবে।
বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনারা আগুন আর লাঠি নিয়ে খেলা করবেন আর আমাদের নেতারা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ললিপপ চুসবে- এটা হবে না। আমরা প্রস্তুত আছি।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি ও শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি, কেন্দ্রীয় সদস্য মারুফা আক্তার পপি, রেমন্ড আরেং, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলাল এমপি, আবুল কালাম আজাদ এমপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মো. মোজাফফর হোসেন এমপি, বেগম হোসনে আরা এমপি, জামালপুর পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন প্রমুখ।
এছাড়া সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা। পরে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহকে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরীকে সহ-সভাপতি ও বিজন কুমার চন্দকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নাম ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের।