ভোলাহাটে আমবাগানের পতিত জমিতে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন

কৃষি প্রচ্ছদ

ভোলাহাট (চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ভোলাহাট উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের জোর তৎপরতা দেখা গেছে। ভোলাহাট উপজেলার একমাত্র অর্থকারি ফসল আম। চারেদিক জুড়ে শুধুই আমের বাগান। মৌসুম আসলে আম পাওয়া যায় বাগানে। বাঁকী সময় বাগানগুলো ফাঁকা পড়ে থাকে। এসব আমবাগান ফাঁকা না রেখে সাথী ফসল হিসেবে অল্প খরচে বেশী লাভবান করতে কৃষকদের মিষ্টি কুমড়া চাষে উৎসাহিত করে যাচ্ছে ভোলাহাট উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর। আমবাগানের পতিত জায়গায় মিষ্টি কুমড়া চাষে বিঘাপ্রতি ৫০/৬০ মণ ফলন পায়। আমগাছে দেয়া সেচ সার দিয়ে মিষ্টি কুমড়া যেমন উৎপাদন হয় তেমনি মিষ্টি কুমড়ার পাতা আমগাছ খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভোলাহাট উপজেলায় এ বছর ৩হাজার ৬’শ ৬০ হেক্টর আম বাগানের মধ্যে ১’শ২০ হেক্টরে মিষ্টি কুমড়া উৎপাদন হচ্ছে। কৃষক পতিত জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করে অল্প খরচে বিঘাপ্রতি ৫০/৬০ মণ ফলন পাওয়ায় খুব খুশি তারা। এছাড়াও বিভিন্ন ফসলের মধ্যে ৪০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ হচ্ছে। মিষ্টি কুমড়া চাষি মোঃ আজম আলী জানান, এ বছর আমবাগানের পতিত জমিতে ১৫ বিঘায় মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে বাম্পার ফলন পাচ্ছেন। তিনি বলেন, মিষ্টি কুমড়া জমি থেকেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। আমবাগানে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে উভয় দিকেই লাভবান হচ্ছি বলে জানান।

চাষি মোঃ কুরবান আলী বলেন, আমি ১০ বিঘা আমবাগানের পতিত জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছি। আমার বিঘা প্রতি মাত্র ৫/৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু খরচ বাদে ৪০/৫০ হাজার টাকা আয় হচ্ছে। তিনি বলেন, এর পূর্বে আমবাগানের পতিত জমি থেকে কোন ফসল উৎপাদন করতে পারিনি।

মোঃ আবুল বলেন, আমি আমবাগানে মিষ্টি কুমড়া চাষ করে বিঘাপ্রতি বাড়তি আয় পাচ্ছি ৪০/৫০ হাজার টাকা তেমনি সুবিধা পাচ্ছি আমগাছে কম সার প্রয়োগ ও পোকামাকড় থেকে রক্ষা।

ভোলাহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ সুলতান আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দেশের এক ইঞ্চি জমিও পতিত রাখা যাবে না। এরি ধারা বাহিকতায় ভোলাহাট উপজেলার পতিত থাকা আম বাগানের পতিত জমিতে অত্যন্ত কম খরচে মিষ্টি কুমড়া চাষ করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে কৃষকদের। এবার আম বাগানসহ বিভিন্ন ফসলের জমির ভিতর সাথী ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়া চাষ করছেন কৃষক। এবছর মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। ব্যবসায়িরা জমি থেকে মিষ্টি কুমড়া ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। বিক্রির কোন সমস্যা হচ্ছে না। এদিকে মিষ্টি কুমড়া চাষে আম গাছের উপকার হচ্ছে বলে জানান তিনি।

গোলাম কবির-ভোলাহাট (চাঁপাইনবাবগঞ্জ)

আরো পড়ুন : গাইবান্ধার যত খবর

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *