চবি সংবাদদাতা : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বিভিন্ন সময়ে সংঘর্ষ, আবাসিক হল ভাঙচুর ও শিক্ষক-সাংবাদিক হেনস্তাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত থাকায় ১৭ ছাত্রলীগ কর্মী ও এক ছাত্র অধিকার কর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বেশ কয়েক জন ছাত্রলীগ কর্মীকে সতর্ক করেছে প্রশাসন।
গতকাল বুধবার প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির ভার্চুয়াল সভায় ঐ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত ১১ আগস্ট খালেদা জিয়া হল শাখা ছাত্রলীগের চার নেত্রীর মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক তাসফিয়া জান্নাত নোলককে দেড় বছরের জন্য বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। এরা হলেন লোকপ্রশাসন বিভাগের আরশিল আজিম এবং নৃবিজ্ঞান বিভাগের শোয়েব মোহাম্মদ আতিক।
৮ অক্টোবর আলাওল হলের কক্ষ ভাঙচুর ও প্রাধ্যক্ষকে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেন সমাজতত্ত্ব বিভাগের হাছান মাহমুদ এবং শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের শহিদুল ইসলাম।
গত ২ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও দেশীয় অস্ত্রের মহড়ার ঘটনায় ছয় ছাত্রলীগ কর্মীকে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। এরা হলেন, সংস্কৃত বিভাগের অনিক দাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তনয় কান্তি সরকার, অর্থনীতি বিভাগের লাবিব সাঈদ ফাইয়াজ, ইতিহাস বিভাগের সিফাতুল ইসলাম, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের নাহিদুল ইসলাম এবং ইতিহাস বিভাগের মো. মোবারক হোসেন।
সর্বশেষ গত ৫ ও ৬ জানুয়ারি পরপর দুদিন ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ছয় জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেন ফিন্যান্স বিভাগের আমিরুল হক চৌধুরী, ইতিহাস বিভাগের ইকরামুল হক, দর্শন বিভাগের নয়ন দেবনাথ, বাংলা বিভাগের সাখাওয়াত হোসেন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মাহমুদুল হাসান ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের মোহাম্মদ ফাহিম।
এ ছাড়া ২৪ আগস্ট শাটল ট্রেনে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে কর্তৃপক্ষের দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় আটক হওয়া ছাত্র অধিকারের এক কর্মীকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। ঐ কর্মীর নাম জোবায়ের হোসেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, পৃথক ছয় ঘটনায় ১৮ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্টে যাদের সংশ্লিষ্টতা থাকবে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরো পড়ুন : সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা অপহৃত বাকি এক কৃষকও মুক্তিপণ দিয়ে ফিরলেন