পুঠিয়া (রাজশাহী) সংবাদদাতা : রাজশাহী চিনিকলের আখ সরবরাহ করে পাওনা টাকা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন পুঠিয়া সাবজোনের আখচাষিরা। এই সাবজোনে তিন শতাধিক চাষির পাওনা ৮৫ লাখ টাকা। চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, পুঠিয়া সাবজোনসহ ৯টি সাবজোনে কৃষকের পাওনা রয়েছে ৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। পাওনা টাকা না পেয়ে কৃষক আগ্রহ হারাচ্ছেন আখ চাষে।
গত বছরের ১ ডিসেম্বর রাজশাহী চিনিকলে আখ মাড়াই শুরু হয়। আখের অভাবে ১৪ দিন আগেই ২২ ডিসেম্বর চিনিকলটি বন্ধ হয়ে যায়। ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ আখের মূল্য পরিশোধ করে। এ সময়ের মধ্যে মিল কৃষকের কাছে পাওনা ঋণের টাকা প্রতি বিল থেকে ৮০ শতাংশ কেটে নেয়। ফলে কৃষককে শ্রমিক ও পরিবহন খরচ মেটাতে নগদ টাকা গুনতে হয় পকেট থেকে। বর্তমানে আখচাষি তাদের পাওনা টাকা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনেকে অর্থ পেতে দেরি হওয়ায় ক্ষোভে আখ ভেঙে জমিতে গম ও ভুট্টা চাষ করেছেন।
আখচাষ কমে যাচ্ছে জানতে চাইলে পুঠিয়া সাবজোন আখচাষি সমিতির সভাপতি ও আখচাষি কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা সাজেদুর রহমান জানান, রাজশাহীর একমাত্র ভারী শিল্প রাজশাহী চিনিকল টিকিয়ে রাখতে আখচাষের বিকল্প নেই। আখের মূল্য মণপ্রতি ২৫০ টাকা নির্ধারণ করে এবং সময়মতো অর্থ পেলে কৃষক আখচাষে ফিরে আসবেন। পুঠিয়া সাবেজোনের ডেপুটি ম্যানেজার শাহীন আহমেদ জানান, পুঠিয়া সাবজোনে তিন শতাধিক কৃষকের পাওনা ৮৫ লাখ টাকা রয়েছে। সঠিক সময় পাওনা টাকা না পেয়ে কৃষক নতুনভাবে আখচাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন।
রাজশাহী চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল বাশার সত্যতা স্বীকার করে জানান, শুনেছি পাওনা টাকা না পেয়ে কিছু কৃষক মুড়ি আখ ভেঙে ফেলেছেন। চিনিকলের অধীন ৯টি সাবজোনে আখচাষির পাওনা রয়েছে ৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। পাওনা টাকা দ্রুত পরিশোধে সরকারি প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। অতি শিগগির আখচাষি তাদের পাওনা পাবেন বলে জানান।
আরো পড়ুন : শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত থাকায় চবিতে ১৭ ছাত্রলীগ কর্মী বহিষ্কার