খোলা আকাশের নীচে গাছের ছায়ায় একটি কাঠের তৈরি বক্স। পাশে রয়েছে গালিচার মতো ঘাস। রয়েছে ইট আর সিমেন্টের কয়েকটি বসার স্থান। পাশে খানিকটা আলমারির মতো দেখতে বুক সেলফ। থরে থরে সাজানো কুরআন ও কিছু বই। ভোর থেকে রাত, কুরআন ও বিভিন্ন বই পড়ার অবারিত সুযোগ। যে কেউ, যখন খুশি গিয়ে বই পড়বেন বলে খুলে রাখা মুক্ত গার্ডেনে আলমারির মতো লাইব্রেরিটি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-আইন বাগানের শহর নামের পরিচিত। এই শহরের বুকে এমন এক আশ্চর্য পাঠাগার বক্স। আল জাহিলি ফোর্টের কাছাকাছি, আল-জাহিলি পার্কটি আল-আইনের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। ২০০৮ সালের পহেলা জানুয়ারি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে এই পার্কটি। সবুজের শহর খ্যাত ১২ হেক্টর জমিতে তৈরি আল জাহিলি পার্কে জ্ঞান অর্জনের এমন সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি পার্কের তিনটি স্থানে রিডিং কর্নার স্থাপন করে এই সুযোগ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বলা যায় পার্কটি জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে।
মিশরের নাগরিক মুহাম্মদ মোস্তাফা বলেন, ‘মনোরম পরিবেশে বই পড়ার মজাই আলাদা। পবিত্র কুরআন ও হাদিস খোলা আকাশের নিচে বসে পড়া অনেকের ভালো লাগে। তারা এই পার্কে এসে পড়তে পারেন বলে জানান তিনি।’
আমিরাতের রাজধানী আবুধাবি থেকে ১৫৮ কিলোমিটার দূরে। দুবাই থেকে দূরত্ব ১৩৩ কিলোমিটা। এটি শেখা ফাতিমার প্রাসাদ সংলগ্ন। এই পার্কে বন্ধু এবং পরিবারের জন্য আড্ডা দেওয়ার জন্য উপযুক্ত স্থান। এখানে শিশুদের জন্য রয়েছে খেলাধুলা করার বিশেষ ব্যবস্থা। শীতের সন্ধ্যায় বারবিকিউ করার জন্য বেশ উপযুক্ত আল জাহিলি পার্ক।
আরো পড়ুন : মহামারির প্রভাব কাটিয়ে উঠতে ২০২৩ সালে ১০ হাজার কর্মী নিয়োগ দেবে বোয়িং