ঝিনাইদহে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যালে বর্জ্য নষ্টের ব্যবস্থাপনা নেই

জনদুর্ভোগ প্রচ্ছদ স্বাস্থ্য কথা

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগোনস্টিক ক্লিনিকগুলোর মেডিক্যাল বর্জ্য নষ্টের ব্যবস্থাপনা নেই। জেলার শীর্ষস্থানীয় সদর হাসপাতালেও মেডিক্যাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নেই। জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি সৃষ্টিকারী এসব বর্জ্য প্রতিদিনই সাধারণ বর্জ্যের সঙ্গে রাস্তার পাশে বা নদীতে ফেলা হচ্ছে। এতে পরিবেশ দূষণের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।

জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগোনস্টিক ক্লিনিক আছে প্রায় ৩০০। এসব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সৃষ্টি হয় প্রচুর মেডিক্যাল বর্জ্য। সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল বর্জ্য সিভিল সার্জন অফিসের সামনে একপাশে ফেলে রাখা হয়। সকালে পৌরসভার আবর্জনাবাহী গাড়ি এসব বর্জ্য তুলে নিয়ে যায়। এরপর পৌরসভার অন্যান্য ময়লা-আবর্জনা ময়লার ভাগাড়ে নিয়ে ফেলা হয়। আবার শহরের কোনো কোনো হাসপাতাল ও ডায়াগোনস্টিক ক্লিনিক রাস্তার ওপর বর্জ্য ফেলে রাখে। পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা তা গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এদিকে উপজেলা শহরগুলোর মেডিক্যাল বর্জ্য যেখানে-সেখানে ফেলা হয়। এমনকি নদীতেও ফেলা হয়। এতে নদীর পানি দূষিত হয়। রোগ জীবাণু ছড়ায়। জানা যায়, শৈলকুপায় সন্ধ্যার পর বর্জ্য বালতিতে ভরে কুমার নদের ব্রিজের ওপর থেকে নদীতে ফেলা হয়।

ঝিনাইদহ প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগোনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুস সামাদ বলেন, ঝিনাইদহ শহরের হাতেগোনা কয়েকটি ডায়াগোনস্টিক সেন্টার ইনজেকশনের সিরিঞ্জ নষ্ট করা করার নিজস্ব ব্যবস্থা আছে। ঝিনাইদহ শহরে মেডিক্যাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য পৌরসভার সঙ্গে কথা চলছে।

অবসারপ্রাপ্ত মেডিসিনের প্রফেসর ডা. আবুল ফাত্তাহ বলেন, মেডিক্যাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সাধারণ মানুষ দিয়ে করা যায় না। এজন্য প্রশিক্ষিত জনবল দরকার। তাছাড়াও একেক রোগের বর্জ্য একেকভাবে নষ্ট করতে হয়। তিনি জানান, মেডিক্যাল বর্জ্য থেকে রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। বিশেষ করে সংক্রামক রোগীর চিকিৎসা বর্জ্য দ্রুত রোগ ছড়ায়।

ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলোর মেডিক্যাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ঢাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে। তারা হাসপাতালের নিরিবিলি জায়গাতে পিট তৈরি করে দেবে। পিটে বর্জ্য ফেলা হবে। তারপর নষ্ট করা হবে। আর বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো নিজস্ব উদ্যোগে মেডিক্যাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করবে।

আরো পড়ুন : বিটিএস-টেলর সুইফটদের পেছনে ফেলে অলকা ইয়াগনিকের বিশ্ব রেকর্ড

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *