দিনাজপুর বিএডিসি কার্যালয়ে “এক ঘর ম্যা দো’পীর !”

অর্থনীতি কৃষি জাতীয় প্রচ্ছদ

শাহ্ আলম শাহী,দিনাজপুর থেকেঃ “এক ঘর ম্যা দো’পীর !” অবস্থান’কে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন-বিএডিসি,দিনাজপুর অঞ্চলে তুলকালাম কান্ড চলছে।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন-বিএডিসি, দিনাজপুর অঞ্চলের পুলহাটস্থ অবস্থানরত যুগ্মপরিচালক (সার) মো. মোশাবেবর হোসেন রিন্টু’র বদলী বিএডিসি’র কন্ট্্রাক্ট গ্রোয়ার্স- বগুড়া সার্কেল এ হয়। তার স্থলে কন্ট্রাক্ট গ্রোয়ার্স- বগুড়া সার্কেল এর দায়িত্বরত আ ফ ম আফরোজ আলমকে দেয়া হয় দিনাজপুরে।বিএডিসি’র সচিব মো.আশরাফুজ্জামান ২৫ জানুয়ারি’২০২২ স্বাক্ষরিত এক আদেশপত্রে সেই বদলীর নিদের্শ দেন। নিদের্শ প্রাপ্তির পর আ ফ ম আফরোজ আলম তার পরবর্তী কর্মস্থল বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন-বিএডিসি, দিনাজপুর অঞ্চলের পুলহাটস্থ কার্যালয়ে গত ২৬ জানুয়ারি আসলেও তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিয়ে এবং তার বর্তমান কর্মস্থল বগুড়ায় যোগ না দিয়ে মো. মোশাবেবর হোসেন রিন্টু দিনাজপুরেই অবস্থান করছেন। ফলে আে ফ ম আফরোজ আলম তার বর্তমান কর্মস্থলে দায়িত্ব বুঝে না পাওয়ায় একই অফিসের খোলা আকাশের ছাদের উপর চেয়ারে বসে অফিস করছেন। এ ঘটনার সত্যতা মিলেছে,সার কেলেংকারির এক ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মতামত জানতে সেই দপ্তরে সরেজমিনে গিয়ে।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন-বিএডিসি, দিনাজপুর অঞ্চলের টিএসপি,এমওপি,ডিএপি নামে যেসব সার কৃষকের মাঝে সরবরাহ করা হচ্ছে,তাতে বস্তা প্রতি ২ কেজি থেকে ৪ কেজি কম থাকছে,এমন অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কয়েকজন সাংবাদিক ও ক্যামেরা পার্সন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পুলহাটস্থ সার গোডাউনে সরেজমিনে যায়। সেখানে অবস্থানরত গুদাম রক্ষক মো. মুছা কুরমুল্লাহ্ সার কম থাকা ঘটনার সত্যতা স্বীকারও করেন। তার সহায়তায় ৫০ কেজি বেশকিছু বস্তা ওজন করে প্রতিবস্তায় দুই থেকে আড়াই কেজি সার কম পাওয়া যায়। বিষয়টি জানার জন্যে পুলহাটস্থ যুগ্মপরিচালক কার্যালয়ে সাংবাদিকরা সরেজমিনে গেলে সেখানে চেয়ারে অবস্থানরত যুগ্মপরিচালক মো. মোশাবেবর হোসেন রিন্টু কোন কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানান।এক পর্যাযে বলেন,তিনি এ কার্যালয়ের যুগ্মপরিচালক নয়,যিনি দায়িত্বে আছেন বাইরে অবস্থান করছেন।
আপনি তাহলে কেনো এ চেয়ারে অবস্থান করছেন ? তা সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বসার চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বসার চেয়ারে পা তুলে রাখেন। এনিয়ে সাংবাদিকরা প্রতিবাদ করলে তিনি এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের সামাল দিতে টাকার প্রলোভন দেন। বলেন,“আপনারা সিস্টেমে আসেন।”
এক পর্যায়ে কয়েকজন সাংবাদিকের হাত ধরে সিস্টেমে যেতে ভেতরে আলাপের প্রস্তাব দেন।
সাংবাকিরা ওই রুম ত্যাগ করে বর্তমান যুগ্মপরিচালক কোথায় ? তা জিজ্ঞেস করলে তিনি ছাদের উপরে বলে জানান। তখন সাংবাদিকরা তিনতলা ছাদের উপরে যান। সেখানে দেখতে পান, আ ফ ম আফরোজ আলম তার বর্তমান কর্মস্থলে দায়িত্ব বুঝে সা পাওয়ায় একই অফিসের খোলা আকাশের ছাদের উপর চেয়ারে বসে অফিস করছেন।
তিনি সাংবাকিদের বলেন,বিষয়টি তিনি তার উবধর্তন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছেন।
এদিকে অবস্থানরত যুগ্মপরিচালক মো. মোশাবেবর হোসেন রিন্টু সার কেলেংকারি এবং চেয়ারে পা তুলে পদবি অবমাননার ঘটনা ধামাচাপা দিতে এবং সাংবাদিক ম্যানেজ করতে বিভিন্ন জনের দ্বারস্থ হয়। অনেকে তার পক্ষ নিয়ে নিউজ না করে ঘটনা চাপা দিতে সাংবাদিদের অনুরোধ জানান।
এনিয়ে রসিকজনেরা বরছেনন, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন-বিএডিসি,দিনাজপুর অঞ্চলে“এক ঘর ম্যা দো’পীর” অবস্থান করছেন। বিষটি সংশ্লিষ্ট উবর্ধতন কর্র্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। তা না হলে অপ্রীতিকর ঘটনার আশংকা রয়েছে।
শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর থেকে।

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *