হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের সদর উপজেলায় আরবি পড়তে গিয়ে ১৩ বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আব্দুল আহাদ (৫৫) নামে এক আরবি শিক্ষককে আটক করে পুলিশে দেয় জনতা। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
অভিযুক্ত আব্দুল আহাদ নিজের দোষ স্বীকার করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। আব্দুল আহাদ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ফান্দ্রাইল গ্রামের মৃত নিলু মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার সকালেও স্থানীয় মক্তবে আরবি পড়তে যায় ওই শিশু। এসময় সুযোগ বুঝে তাকে পাশের একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে। বৃহস্পতিবার বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা আরবি শিক্ষক আব্দুল আহাদকে আটক করে সদর থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে এসআই ইয়াকুব আলীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। এরপর তাকে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও এসআই ইয়াকুব আলী জানান, হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযুক্ত আব্দুল আহাদ নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। ভিকটিম সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে আদালতে জবানবন্দির জন্য তাকে প্রেরণ করা হবে।
আরো পড়ুন : মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, শ্রম অধিকার এবং রোহিঙ্গা সমস্যার গুরুত্ব