নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা: খুলনায় বিদ্যুতে প্রিপেইড মিটারে টাকা রিচার্জ করতে গিয়ে ডিজিট ভোগান্তিতে পড়ছেন গ্রাহকরা। চলতি মাস থেকে মিটারে টাকা রিচার্জ করতে গেলে টোকেন স্লিপে ২০০ থেকে ২৪০টি ডিজিট দেওয়া হচ্ছে। মিটারে একসঙ্গে এত ডিজিট চাপতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা। ডিজিটে ভুল করলে মিটার লক হয়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। এর আগে মাত্র ২০টি নম্বরের ডিজিট দিয়ে রিচার্জ করতেন গ্রাহকরা।
খুলনার শেখপাড়া হাজী ইসমাইল রোডের বাসিন্দা মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, মিটারে টাকা রিচার্জের জন্য গেলে দোকান থেকে ২০০ ডিজিটের একটি টোকেন স্লিপ দেওয়া হচ্ছে। ডিজিটগুলো মিটারে চাপতে হয়। একসঙ্গে এত ডিজিট চাপতে গিয়ে অনেক সময় ভুল হচ্ছে। বিশেষ করে বাড়ির বয়স্কদের পক্ষে মিটারে এত ডিজিট চেপে রিচার্জ করা কোনোমতেই সম্ভব হচ্ছে না। আবার ডিজিট চাপতে বারবার ভুল করলে মিটার লক হয়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। এর আগে ১৮ জানুয়ারি ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো)-এর পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির কারণে প্রথমবার রিচার্জের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের বাড়তি ডিজিট আসার কথা বলা হয়। সফটওয়্যারজনিত কারণে এই জটিলতা হচ্ছে বলে জানানো হয়। কোম্পানির নির্বাহী প্রকৌশলী (প্রিপেইড মিটার) রকিবুল ইসলাম জানান, বিদ্যুতের ট্যারিফ বা মূল্য পরিবর্তন হলে তখন অতিরিক্ত ডিজিটের সমস্যাটা হয়। সার্ভার থেকে মিটারে তথ্য জমা দিতে গেলে টোকেনে অনেকগুলো ডিজিট আসে। এ ধরনের জটিলতা আবাসিক গ্রাহক পর্যায়েই বেশি থাকে। এদিকে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকদের ক্ষেত্রে রিচার্জ করতে আরও বেশি ২৪০টি ডিজিট চাপতে হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা জানান, নির্দিষ্ট দোকান থেকে মিটারে টাকা রিচার্জের পর মোবাইলে ২০০ থেকে ২৪০টি ডিজিট আসে। একসঙ্গে এতগুলো ডিজিট মিটারে চেপে রিচার্জ করা ভোগান্তি ব্যাপার। জরুরি সময় এতে বারবার ভুল হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
তবে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, এরই মধ্যে গ্রাহকের ভোগান্তি কমাতে সফটওয়্যারগত এই সমস্যাটা ঠিক করার জন্য একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, যা প্ল্যানিং কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে। এটি পাস হলে শিগগিরই প্রিপেইড মিটার রিচার্জে ডিজিট ভোগান্তির অবসান হবে।
আরো পড়ুন : চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে তিন শ্রমিকের মৃত্যু