দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপপু। আজ রোববার ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্বাচন কমিশনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে সাহাবুদ্দিন চুপপুর নাম দাখিল করেছেন।
সাহাবুদ্দিন চুপপু ১৯৪৯ সালে পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবনে তিনি পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালে সংঘটিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর কারাবরণ করেন চুপপু।
পেশায় একজন আইনজীবী সাহাবুদ্দিন চুপপু ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। ১৯৯৫ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্বাচিত হন তিনি। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২৫ বছর পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন।
২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর ওপর যে হামলা হয় এবং হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনা ঘটে, সেসব ঘটনার তদন্তে গঠিত কমিশনের প্রধান ছিলেন সাহাবুদ্দিন চুপপু। এ ছাড়া ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপপু দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সাহাবুদ্দিন চুপপু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য। আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক ছেলের বাবা। স্ত্রী প্রফেসর ড. রেবেকা সুলতানা সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব ছিলেন।
আরো পড়ুন : তুরস্ক ও সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়িয়েছে