বিশেষ প্রতিনিধি: সারাহ ইসলামের কিডনি গ্রহণকারী শামীমা আক্তার আহ্বান জানিয়েছেন, সচেতন সব মানুষ যেন দেহদানে এগিয়ে আসেন। আজ সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। শামীমা আরও বলেন, আল্লাহ যেন সারাহ ইসলামকে বেহেশত নসিব করেন।
অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউর উপাচার্যসহ ৭ জন সারাহর মতো অঙ্গদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
১৮ জানুয়ারি ‘মস্তিষ্ক মৃত’(ব্রেন ডেথ) ঘোষিত সারাহ ইসলামের দুটি কিডনি এবং দুটি কর্নিয়া চারজনের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। শামীমা আক্তার ছিলেন কিডনি গ্রহীতাদের একজন। ওই প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়ায় যাঁরা জড়িত ছিলেন, তাঁদের আজ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সারাহ ইসলামের মা শবনম সুলতানা। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে মঞ্চে আসেন শামীমা আক্তার। তাঁকে আবেগে জড়িয়ে ধরেন সারাহ ইসলামের মা শবনম সুলতানা।
পরে শবনম বলেন, ‘আমার সারাহ বেঁচে আছে অসংখ্য মানুষের মাঝে। আমি মনে করি না, সারাহ মারা গেছে। সন্তান হারানোর বেদনা আমার আছে। আমি আজকের দিনের অনুভূতি বোঝাতে পারব না।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘এটি একটি অসাধারণ উদ্যোগ।
সারাহ ইসলাম যে পথ দেখিয়েছেন, আশা করি এ পথে অনেকে অঙ্গ দান করবেন।’
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিএসএমএমইউর উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। উপাচার্য বলেন, তিনিসহ মোট সাতজন সারাহর মতো অঙ্গদানের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এ সাতজন অঙ্গদানের জন্য তৈরি করা কার্ডে স্বাক্ষর করেছেন।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদও বলেছেন, চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি অঙ্গদানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবেন।
সারাহর একটি কিডনি বিএসএমএমইউতে একজন কিডনি রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। অন্য কিডনি বিএসএমএমইউ থেকে কিডনি ফাউন্ডেশনে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে একজনের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। এ ছাড়া সারাহর দুটি কর্নিয়া দুজনের চোখে লাগানো হয়। একজনের অস্ত্রোপচার হয় বিএসএমএমইউতে, অন্যজনের সন্ধানী চক্ষু হাসপাতালে।
আরো পড়ুন : দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন মো. সাহাবুদ্দিন