রাশিয়ার কোষাগারের অর্থ ২০২৪ সাল অর্থাৎ আগামী বছর শেষ হয়ে যেতে পারে, এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির ধনকুবের ওলেগ দেরিপাসকা। বৃহস্পতিবার সাইবেরিয়ায় এক অর্থনৈতিক সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাসের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সিএনএন। সম্মেলনে ওলেগ দেরিপাসকা বলেন, ‘আগামী বছরে আমাদের কোনো অর্থ থাকবে না। এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে আমাদের বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রয়োজন পড়বে।’
গত সপ্তাহেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে প্রশংসায় মেতেছিলেন। যুদ্ধ শুরুর পর মস্কোর ঘাড়ে যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির পশ্চিমা মিত্ররা নানা নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেওয়ার পরও রাশিয়ার অর্থনীতি স্থিতিশীল রয়েছে বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি।
রাশিয়ার সরকারি হিসাব অনুযায়ী, গত বছরে দেশটির অর্থনীতি ২ দশমিক ১ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। তবে যুদ্ধ শুরুর পর অর্থনীতিবিদদের অনেকের ধারণা ছিল, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার জেরে আরও বড় ধাক্কা খাবে রুশ অর্থনীতি।
এদিকে বর্তমান রাশিয়ার অর্থনীতির ফাটলগুলো আরও বড় হচ্ছে। চলতি মাসেই জ্বালানি তেলের উৎপাদন কমাচ্ছে দেশটি। এ ছাড়া সামনের দিনগুলোয় পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরও জোরদার করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বলতে গেলে, ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে রাশিয়ার অর্থনৈতিক সম্ভাবনা।
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার অর্থের জোগান কমিয়ে আনতে এরই মধ্যে দেশটির ওপর ১১ হাজার ৩০০–এর বেশি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমারা। এ ছাড়া দেশটির প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক রিজার্ভ জব্দ করা হয়েছে।
এমন পরিস্থিততে বিদেশি বিনিয়োগকারী, বিশেষ করে ‘মিত্র’ দেশগুলো বড় ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মনে করেন ধনকুবের ওলেগ দেরিপাসকা। তিনি বলেন, এ দেশগুলো রাশিয়ায় বিনিয়োগ করবে কি না, তা নির্ভর করবে মস্কো উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে ও নিজের বাজারগুলো আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারবে কি না, তার ওপর।
আরো পড়ুন : কৃষি সমৃদ্ধিতে ক্রপ জোনিং উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সহায়ক