বগুড়া প্রতিনিধি: আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল ইসলাম ওরফে হিরো আলম বগুড়া শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়ামে বিসিবির কার্যক্রম পুনর্বহাল ও খেলা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেছেন, অন্যথায় এটা জুয়ার আসর, গরুরহাট বা মেলা বসবে।
মঙ্গলবার দুপুরে তিনি স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে নিজের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানিয়েছেন।
হিরো আলম বলেন, শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়াম থেকে ১৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও মালামাল সরিয়ে নেওয়া বগুড়াবাসীর জন্য লজ্জার। গত ১৫ বছরে জেলার কি কোনো উন্নয়ন হয়েছে? বগুড়াবাসীকে কি দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি উপ-নির্বাচনে বগুড়া সদর আসনে ৫০ বছর পর নৌকা মার্কার রাগেবুল আহসান ভাই নির্বাচিত হয়েছেন। তিনিও তার বিপক্ষে ভোট করেছেন। রিপু ভাইকে বলতে চাই, বগুড়ার মানুষ তাদের রক্ষার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আপনাকে ভোট দিয়েছেন। আপনি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় বিসিবি কিভাবে স্টেডিয়ামে থেকে সব কিছু প্রত্যাহার করলো?
তিনি বলেন, এই দীর্ঘ ১৫ বছরে আপনারা বগুড়ায় জাতীয় কোনো খেলাও দেননি। বগুড়ার বিমানবন্দরে গরু বাছুর পালন ও ধান চাষ হয়। এখন শুধু আছে এক মেডিকেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আন্দোলন করেও আমাদের লাভ হয় না। বগুড়ার মাটিকে আপনারা ঘাঁটি না বানিয়ে উজাড় করে দিয়েছেন। এটা লজ্জার।
হিরো আলম আরও বলেন, বগুড়া শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়ামের বিরুদ্ধে এক শ্রেণির সিন্ডিকেট কাজ করছে। তারা চায়না বগুড়ায় স্টেডিয়াম থাকুক। এরা চায় স্টেডিয়াম থেকে সব চলে যাক। আর যখন এ স্টেডিয়াম পড়ে থাকবে তখন ওই লোকেরা মাঠে জুয়ার বোর্ড বসাবে, মেলা করার চেষ্টা করবে, কুরবানি আসলে গরুর হাট বসাবে।
তিনি প্রশ্ন করে বলেন, তাহলে স্টেডিয়াম কি মেলা, হাট বা জুয়ার বোর্ড বসানোর জন্য? সিন্ডিকেট চায় স্টেডিয়াম পরে থাকুক। তখন ওরা ৯৯ বছরের জন্য মাঠ লিজ নিয়ে যা ইচ্ছা তাই করবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে হিরো আলম বলেন, বগুড়া শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়াম জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছে হস্তান্তরে বিসিবির কোনো দোষ নেই। তারা এখানে কাজ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু ওই সিন্ডিকেট তাদের বাঁধা দিচ্ছে। তারাই বিসিবির খেলা আসার আগে চিঠি দিয়ে বাধা দিয়েছে খেলা না দেওয়ার জন্য।
এ সিন্ডিকেট কে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে হিরো আলম বলেন, সেটা আপনারা সবই জানেন। আমি এখন তাদের নাম বলতে চাই না।
মানববন্ধন শেষে হিরো আলম সফরসঙ্গীদের সঙ্গে নিয়ে বগুড়া শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন।
গত ২ মার্চ বিসিবি কর্তৃপক্ষ বগুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার বিরুদ্ধে খেলা আয়োজনে জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে দায়ী করে এ স্টেডিয়াম থেকে মালামাল ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মিরপুর স্টেডিয়ামে প্রত্যাহার করেন। পরে তাদের রাজশাহী ও রংপুর স্টেডিয়ামে বদলি করা হয়েছে।
বিসিবির এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত কয়েকদিন ধরে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, বিভিন্ন সংগঠনের মানবন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। এক ব্যক্তি শহরের সাতমাথায় অনশন কর্মসূচি পালন করেন। এ গণস্বাক্ষর কর্মসূচি উদ্বোধন করেন জাতীয় দলের খেলোয়াড় মুশফিকুর রহিমের বাবা ক্রীড়ামোদী মাহবুব হামিদ তারা।
আরো পড়ুন : প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বারোপ করলেন স্বল্পোন্নত দেশগুলোর বাণিজ্য অবকাঠামো সম্প্রসারণে