ঢাকা মেডিকেল প্রতিনিধি: রাজধানী সিদ্দিকবাজারে ভবনে বিস্ফোরণে ঘটনায় নিহত ১৬ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টা পর্যন্ত লাশগুলো হস্তান্তর করা হয়। ঢাকা জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার সুবীর কুমার দাশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসনের এই কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৬ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে। এখনো তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁরা আহত না নিহত, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
যে ১৬ জনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে তাঁরা হলেন মুনসুর, আলামিন, আবু বক্কর সিদ্দিক, নাজমুল হোসেন, রাহাত, ওবায়দুল হাসান, নুরুল ইসলাম, হৃদয়, মাইনুদ্দিন, মমিনুল, নদী, আকুতি বেগম, ইসমাইল হোসেন, ইছহাক মৃধা, সুমন ও আব্দুল হাকিম।
নিখোঁজ তিনজন হলেন মেহেদী হাসান, ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়া ও ইয়াসিন। স্বজনেরা হাসপাতালে এসে তাঁদের কোনো খোঁজ পাননি।
বিস্ফোরণের ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে ১৯ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। অপরদিকে, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এসএম আইউব হোসেন জানিয়েছেন, সেখানে আহত ১০ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ভবনে উদ্ধারকাজ স্থগিতের কথা জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগীয় উপপরিচালক দিনমনি শর্মা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় ভবনের বেজমেন্টে উদ্ধারকাজ চালানো সম্ভব নয়। তাই উদ্ধারকাজ স্থগিত করা হয়েছে। বুধবার সকালে সেনাবাহিনী আসবে, তারপর উদ্ধারকাজ শুরু হবে।
মঙ্গলবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে গুলিস্তানে বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশাপাশি দুটি বহুতল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একটি ভবন সাততলা, আরেকটি ভবন পাঁচতলা। এর মধ্যে সাততলা ভবনের বেজমেন্ট, প্রথম ও দ্বিতীয় তলা বিধ্বস্ত হয়েছে। আর পাঁচতলা ভবনের নিচতলাও বিধ্বস্ত হয়েছে। এই ভবনের দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের কার্যালয়। সেখানে উদ্ধারকাজ চালায় ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট।
আরো পড়ুন : সিদ্দিকবাজারের ব্যস্ত সড়কে রক্তাক্ত অবস্থায় ‘বাঁচাও বাঁচাও’ আর্তনাদ