নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির মোট ২৪টি কলামের মধ্যে ৯টি কলাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রভাব পড়েছে অন্যান্য কলামেও। বুধবার রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) গঠিত কমিটির আহ্বায়ক মেজর (অব) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী।
ঝুঁকি বিবেচনায় ব্যবহার উপযোগিতার বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে রাজউকের গঠিত কার্যকরী কমিটির সদস্যরা বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তাঁরা বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত দুটি ভবনেই নিচ থেকে ছাদ পর্যন্ত, যেখানে যেখানে যাওয়া সম্ভব, সেখানে যান এবং ভবন পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে কমিটির আহ্বায়ক রাজউকের সদস্য উন্নয়ন, মেজর (অব) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা এই ভবন দেখতে এসেছি। ভবনটি ব্যবহার করা যাবে কি না, তা দেখতে আমরা বুয়েট থেকে করা কমিটির সদস্যরাসহ দেখতে এসেছি। ভবনটির কতগুলো কলাম আছে, সেগুলোর অবস্থা কী তা সব নিচ থেকে ছাদ পর্যন্ত পরিদর্শন করেছি। তিনি আরও বলেন, নিচে আন্ডারগ্রাউন্ডে কলাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কলামগুলোকে সাপোর্ট দিতে হবে। ভবনে ২৪টি কলাম আছে, এর মধ্যে ৯টি কলাম মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যান্য কলামেও প্রভাবে পড়েছে। এখন এই কলামগুলোকে স্থিতিশীল করতে হবে। সাপোর্টিং লোড হিসেবে অন্য কোনো বিম বা বাম্পারের মাধ্যমে সাপোর্ট দিতে হবে। দ্রুত বিষয়টি নিয়ে কাজ করা হবে।
কমিটির সদস্য বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমদ আনসারী বলেন, ‘আমরা এর আগেও ওয়াহেদ ম্যানশনে একইভাবে কাজ করেছি। ভবনটিকে রেট্রো ফিটিংয়ের মাধ্যমে বাসযোগ্য করা যাবে৷ কারণ, ওপরের কলামগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। রাজউকের এ নিয়ে কাজ করার কিছু ক্ষমতা থাকলেও পুরোপুরি নেই। এ কাজে যাঁরা দক্ষ, তাঁদের যুক্ত করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, বেসমেন্টে আসল ক্ষতি হয়েছে। ভবনটির ভিত্তিতে কোনো সমস্যা হয়েছে কি না, এগুলো যাচাই করতে হবে।
এসব যাচাই করতে মাস দুয়েক সময় লাগবে। ১৯৮০ সালে ভবনটি তিনতলা করা হয়েছিল। তাই এখন মাটি পরীক্ষা করতে হবে। নতুন কোনো সমস্য তৈরি হলো কি না, যাচাই করতে হবে। ভবনটি বাসযোগ্য করতে এক বছরের মতো সময় লাগবে। আপাতত ভবনটি এখন ব্যবহার করা যাবে না। ক্ষতিগ্রস্ত কলামগুলোকে দ্রুত সাপোর্ট দিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখতে হবে, যাতে ভবনটি ধসে না যায়।
এ অবস্থায় উদ্ধার কার্যক্রমের কী হবে জানতে চাইলে কমিটির সদস্য বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক রাকিব আহসান বলেন, কলাম ধসে না পরলেও কোনো কোনো একই কলামের নিচে এবং ওপরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ অবস্থায় কাজ করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এখন কলামগুলোকে স্থিতিশীল না করে কাজ করা যাবে না। এ ছাড়া ভবনটি অনেক পুরোনো। তখন ভবন নির্মাণের মান বজায় রাখা হয়েছিল কি না, সেটিও দেখার বিষয়।
আরো পড়ুন : গোবিন্দগঞ্জে স্বাধীনতা কাপ আন্তঃস্কুল দাবা চ্যাম্পিয়নশীপ ২০২৩ এর উদ্বোধন