ভোলা সংবাদদাতা : মনপুরায় দেড় লক্ষাধিক লোকের চিকিৎসাসেবার একমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্যাথলিজিক্যাল যন্ত্রপাতি ও জনবলের সংকট রয়েছে। এছাড়া রয়েছে বিদ্যুতের সমস্যা। আর এতে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। ৩১ শয্যার হাসপাতালটি ২০১৪ সালের ২১ জুন ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি চলছে ৩১ শয্যার লোকবল ও যন্ত্রপাতি দিয়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চিকিৎসকের ১২টি পদের মধ্যে পাঁচটি শূন্য। এর মধ্যে জুনিয়র কনসালটেন্ট সার্জারি, মেডিসিন, গাইনি, এনেসথেসিয়া, ডেন্টাল সার্জন পদ দীর্ঘদিন শূন্য রয়েছে। সিনিয়র স্টাফ নার্স ও সহকারী নার্সের ২৫টি পদের মধ্যে ২০টি শূন্য। মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান ল্যাবে পাঁচটি পদের মধ্যে পাঁচটিই শূন, এমটি ডেন্টালে একটি পদ শূন্য, এমটি রেডিও গ্রাফারে একটি পদ শূন্য, ফার্মাসিস্ট তিনটি পদের মধ্যে তিনটিই শূন্য, মিডওয়াইফ চারটি পদের মধ্যে একটি শূন্য, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট রেডিওলোজি অ্যান্ড ইমাজিং একটি পদ শূন্য এবং মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট এসএল একটি পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়া পরিসংখ্যানবিদের একটি পদ, স্টোরকিপারে একটি পদ, স্বাস্থ্য সহকারী পরিদর্শকের দুটি পদের মধ্যে একটিসহ আরো অসংখ্য পদ শূন্য রয়েছে।
স্কুলশিক্ষক মো. আলাউদ্দিন আজাদ বলেন, এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক থাকলেও সঠিক রোগ নির্ণয় করার কোনো প্যাথলজিক্যাল যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা না থাকায় প্রকৃত চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে না রোগীরা। হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. আশিকুর রহমান অনিক বলেন, হাসপাতালে প্রকৃত সেবা দেওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসাসেবা দিতে পারলে আরো ভালো হতো।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. কবির সোহেল বলেন, ‘এখানে জনবল ও প্যাথলজিক্যাল যন্ত্রপাতির অভাব রয়েছে সত্য, তবে প্রধান সমস্যা বিদ্যুৎ। দিনের বেলায় বিদ্যুতের ব্যবস্থা না থাকায় রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসাসেবা দিতে পারছি না। বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান এবং চিকিৎসক, নার্স ও জনবলসংকট সমাধান করতে পারলেই ভালো চিকিৎসা দিতে পারব। রাত ১টার পরেও হাসপাতালে বিদ্যুৎ থাকে না।’ তিনি আরো বলেন, ৫০ শয্যায় উন্নীত হাসপাতালটি ২০১৮ সালে প্রশাসনিক অনুমোদন পেয়েছে। এখনো আর্থিক অনুমোদন পায়নি। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপির সঙ্গে এ বিষয় কথা বলব।
আরো পড়ুন : ‘আমি টোকাই আর আমনে ভালো মানুষ হইয়া গেলেন?’-কাউন্সিলরকে ভ্যান সার্ভিস মালিক