ভয়াবহ ভূমিকম্পের ক্ষত পূরণ না হতেই তুরস্কে এবার আঘাত হেনেছে বন্যা। গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে প্রবল বৃষ্টির জেরে সৃষ্ট বন্যায় তলিয়ে গেছে দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের অসংখ্য ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান। এতে এখন পর্যন্ত পাঁচজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে। খবর ডেইলি সাবাহর।
আজ বুধবার সকালে তোকাত প্রদেশের গভর্নর নুমান হাতিপোলু জানিয়েছেন, বন্যায় একজন নিহত হয়েছেন। আদিয়ামানের টুট জেলায় চারজন নিখোঁজ রয়েছেন।
ভারি বৃষ্টিতে সানলিউরফা ইয়ুবিয়ে ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) প্লাবিত হয়েছে। এ কারণে সেখানকার রোগীদের অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ ছাড়া, সানলিউরফার আবিদে কোপ্রলু জংশনের কাছে বন্যার কারণে অন্তত ছয়জন আটকে থাকার খবর পাওয়া গেছে। ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছে।
বৃষ্টির কারণে এ অঞ্চলের সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতি আরও কিছু দিন থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তুরস্কের আবহাওয়া দপ্তরের (টিএসএমএস) পূর্বাভাসে ১৪ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত দেশটির দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের জন্য অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সম্ভাব্য অতিবর্ষণে দুর্ভোগের আশঙ্কা থাকা এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে আদিয়ামান, দিয়ারবাকির, এলাজিগ, মালত্য, কাহরামানমারাস, মারদিন, সিভাস, সানলিউরফা ও কিলিস প্রদেশ। গত মাসের ভূমিকম্পে এই এলাকাগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তীব্র ভূকম্পনে দুলে ওঠে তুরস্কের দক্ষিণ এবং সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল। রিখটার স্কেলে সেই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এর কয়েক ঘণ্টা পরে ওই এলাকায় আবারও আঘাত হানে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প।
সেই দুই ভূমিকম্পে পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় দেশ দুটির বিশাল এলাকা। এতে প্রাণ হারান ৫১ হাজারেরও বেশি মানুষ। শুধু তুরস্কেই প্রাণহানি হয়েছে ৪৫ হাজারের বেশি।
আরো পড়ুন : আওয়ামী লীগকে ‘প্যাথলজিক্যাল চোর’ বলে অভিহিত করেছেন ফখরুল