প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে না আসলে অপূর্ণতা থেকে যাবে, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না। ’ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে বিএনপির যে আসা প্রয়োজন এটা সরকারের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে। সরকারও অনুধাবন করেন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য একটি বিরোধীদল এবং বিএনপি একটি প্রধান বিরোধী দল এতে কোনো সন্দেহ নেই। এর প্রমাণ মেলে সরকার কোনো কর্মসূচি দিলে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ওরা মিছিল মিটিং করছেন। সম্প্রতি কয়েকটি পার্টে শুনলাম ওরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। এতে ইঙ্গিত করে সরকারও আন্তরিক যেভাবেই হোক বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। সরকারের মধ্যে আন্তরিকতা আছে। বোধ আছে। তারা চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিএনপি নির্বাচনে না আসলে একটা অপূর্ণতা থেকে যাবে, নির্বাচন অংশগ্রহনমূলক হবে না। সরকারও আন্তরিক বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে বরিশাল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, আমরা কোনো দলকে জোর করে নির্বাচনে আনতে পারব না। সংলাপে আসার জন্য আমরা বিএনপিকে দুই দুইবার চিঠি দিয়েছি। ওনারা আসেনি। সংলাপে অংশগ্রহণ করেননি। ওনাদের সম্পূর্ণভাবে আমাদের ওপরে অনাস্থা আছে, সরকারের ওপরে অনাস্থা আছে। আমরা যেটা খবরে দেখতে পাই। আমাদের সঙ্গে সরাসরি কথা হয়নি।
তিনি আরো বলেন, ভারত আর আমাদের দেশের ইভিএম মেশিন এক নয়। ভারতের মেশিনে আঙুলের ছাপের প্রয়োজন হয় না। এতে একজনের ভোট অন্যজন দিতে পারে। তবে আমাদের দেশের মেশিনে সেই সুযোগ নেই। ইভিএম ভালো না খারাপ সেটা আমি বলব না। আমাদের ইভিএমে ভোট না দিয়ে ফিরে গেছে এমন কোনো ঘটনা নেই। এমন হতে পারে যে আঙুলের ছাপ না মেলায় দেরি হচ্ছে বা মেশিন স্লো কাজ করছে। এখন যে ইভিএম আছে তাতে ৫০/৬০টি আসনে দিতে পারি। আমাদের সামর্থ্য আছে ৩০০ আসনে ব্যালটে ভোট গ্রহণের। সরকার ইভিএম নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, এখন পর্যন্ত ইভিএম নিয়ে আমরা তেমন কোনো অভিযোগ পাইনি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, কিছু সংকট থাকবেই, আবার কোনো সংকট থাকবে না যদি আমরা ভোটারদের ভোটাধিকার নির্বিঘ্নে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারি।
এর আগে মতবিনিময় সভায় বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাচন কমিশনের আইডিইএ প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, রেঞ্জ ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান, মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সঞ্জয় কুমার কুন্ডু, জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন, পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন সরকারি অফিসের কর্মকর্তারা।
আরো পড়ুন : স্বাধীনতার ৫২ বছর কেটে গেলেও ঈশ্বরদীর গণকবরের নেই কোনো সংরক্ষণ