শাহ্ আলম শাহী,দিনাজপুর থেকে: ভারত থেকে আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও দিনাজপুরে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৮-১০ টাকা। ডলারের কারণে দাম ওঠানামা করছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সরজমিনে দিনাজপুরের বৃহত্তম পেয়াজের পাইকারি বাজার হিলি স্থলবন্দর এবং অন্যতম বাহাদুর বাজার (এনএম মার্কেট)ঘুরে দেখা গেছে,এক সপ্তাহ আগে পাইকারি বাজারে যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ২২ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে, আজ তা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২’টাকা কেজিতে। খুচরা ব্যবসায়ীরা তা বিক্রি করছেন,৩৫ থেকে ৩৮ টাকা দরে । হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
সম্প্রতি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকেই।
বাহাদুর বাজারে পেঁয়াজ ক্রয় করতে আসা সংবাদকর্মী আল,মনসুর জানালেন, সবকিছুরতো দাম বাড়লো,কিন্তু আমাদের আয় তো আর বাড়েনি। কয়দিন আগে যে পেঁয়াজ ২৫ টাকা কেজি দরে কিনেছি,আজ তা ৩৫ টাকায় নিতে হচ্ছে। কিছুই করার নেই।সংসারতো আছে।নিতেই হবে।
তিনি বলেন, চাল,ডিম,মাছ,সবজিসহ সব জিনিসের দাম বেড়েছে। চাল নিলে ডিম হয় না আবার সবজি নিলে মাছ হয় না। ৫০০ টাকার বাজার করলে ব্যাগের তলায় পড়ে থাকে। এই ভাবে আর কতো দিন চলা যায় ! ”
অটো-বাইক চালক সাদেকুল ইসলাম জানালেন, পাঁচ দিন আগে ২৫ টাকা কেজি পেঁয়াজ কিনেছিলাম। আজ সেই পেঁয়াজ দেখছি ৩৪ টাকা কেজি। এভাবে দাম বাড়লে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ বাঁচবে কী করে?’
বাহাদুর বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী একরামুল হক জানালেন, ভারত থেকে হিলি বন্দর দিয়ে আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বেড়ে গেছে। ২৫ টাকার পেঁয়াজ আজ বিক্রি করছি ৩০ টাকা কেজি দরে। ডলারের দাম ওঠানামা করায় পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাচ্ছে।’
পেঁয়াজের খুচরা ব্যবসায়ী মো. সলিমুল্লা জানান, আমরা কোন কিছুর দাম বাড়াই না। বেশি দামে কিনলে বেশি দামে আমাদের বিক্রি করতে হয়। এটা সাধারণ মানুষ বোঝে না। সব দোষ যেনো আমাদের।
আরো পড়ুন : জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ