উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া কি বিএনপি’র বি-টিমের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান?

প্রচ্ছদ মুক্তমত রাজনীতি

মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ (অব.) পিএইচডি: নেত্রকোনার ভাটি অঞ্চলের বাউল সাধক উকিল মুন্সি (১৮৮৫-১৯৭৮) ছিলেন অতি সাধারণ সহজ-সরল প্রকৃতির মানুষ। আক্ষরিক অর্থে আইনজীবী বা উকিলের মতো ক্ষুরধার চাতুর্য, বাকপটুতা কিংবা আইনি প্যাঁচ কষার কৌশল তিনি জানতেন না। মুন্সি অর্থাৎ মৌলভি, শিক্ষক বা হিসাবরক্ষকের মতো শিক্ষার সনদও তাঁর ছিল না। তবে তাঁর ছিল সহজ-সরলভাবে মনের ভাব প্রকাশ করার অসাধারণ কৌশল। হৃদয়ছোঁয়া সুরারোপের তীক্ষè দক্ষতা আর দরাজ কণ্ঠ। নেত্রকোনার আরেক গর্ব-লেখক, নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ তাঁর ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ চলচ্চিত্রে একই অঞ্চলের মরমি গায়ক বারী সিদ্দিকীর গাওয়া উকিল মুন্সির বিখ্যাত ‘শুয়া চান পাখি’ গানটি ব্যবহার করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিলেন। এ গানের তিনটি পৃথক অংশে লেখা আছে ‘… তুমি আমি জনম ভরা ছিলাম মাখামাখি… শিকল ভেঙে চলে গেলে কারে লইয়া থাকি… হঠাৎ করে চলে গেলে বুঝলাম না চালাকি…’। উকিল মুন্সির কথা বিশেষত উকিল মুন্সির এই গানটির কথা বারবার কানে বাজছিল আরেক ভাটি অঞ্চল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতী সন্তান উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার সাম্প্রতিক মুনশিয়ানা দেখে। একসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ত্রাণ বিতরণের দায়িত্ব পালনকালে এই মানুষটি সম্পর্কে জেনেছিলাম। নিতান্ত মাটির মানুষ ও জনদরদি হিসেবে তাঁর ছিল ঈর্ষণীয় গ্রহণযোগ্যতা। ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনীতির সঙ্গে উকিল সাত্তারের ‘জনমভরা মাখামাখি’ শুরু। তৎকালীন কুমিল্লা-১ বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে জয়ী হয়ে ১৯৭৯ সালের সংসদে বসে তিনি তাঁর জনপ্রিয়তা প্রমাণ করেন। ১৯৭৯ থেকে আজ ২০২৩-এ ৪৪ বছরে অনুষ্ঠিত প্রায় সব নির্বাচনে তিনি আলোচনায় ছিলেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপির পক্ষে জয়ী হন। ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারি ও জুনের নির্বাচনেও তাঁর জয়ের ধারা অব্যাহত থাকে। তথাপি ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি দলীয় সিদ্ধান্তে তাঁর আসনটি ছেড়ে দেন, যেখানে ইসলামী ঐক্য জোটের মুফতি আমিনী জয়ী হন। দল ও নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্যের পুরস্কারস্বরূপ তাঁকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব প্রদান করা হয়। ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিভিন্ন কারণে জাতীয় সংসদে দেখা যায়নি তাঁকে। তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনে দলের ক্রান্তিকালে যে ছয়টি আসনে বিএনপি জয়লাভ করে, তার একটি ছিল উকিল আবদুস সাত্তারের দখলে। গেল বছরের ১০ ডিসেম্বর ঢাকার বিভাগীয় গণসমাবেশে সংসদ থেকে সংরক্ষিত আসনসহ বর্তমান একাদশ জাতীয় সংসদের সাতটি আসন থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেয় বিএনপি। তার পরপরই পদত্যাগ করেন উকিল আবদুস সাত্তারসহ সব এমপি।

শীতের মাঝে এ সময় রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়ায় নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২। এ আসনের সদ্য পদত্যাগ করা এমপি উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াকে নিয়ে এ সময় চারদিকে গুজব আর গুঞ্জনের শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত হতে থাকে। এরই মাঝে বছরের শেষ দিনে (৩১ ডিসেম্বর, ২০২২) ৮৪ বছর বয়সের এই বর্ষীয়ান পার্লামেন্টারিয়ান উপলব্ধি করেন, বিএনপিতে তাঁর প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে। আর ২০২৩ সালের শুরুতেই ১ জানুয়ারি বিএনপি একাধারে দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাধারণ সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেয় উকিল আবদুস সাত্তারকে। এভাবেই দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সংসারের ‘শিকল ভেঙে’ দলের বাইরে চলে গেলেন তিনি। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে একই আসন থেকে তাঁর আবারও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা এবং আয়োজন দেখে প্রশ্ন জেগেছে- এই উকিলের হাত-পায়ে কেউ আবার নতুন শেকল পরায়নি তো? আর প্রশ্নের বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করেছে বেশ কিছু প্রসঙ্গ। অন্য পাঁচটি নির্বাচনী এলাকার মধ্যে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টি ও বরগুনা-৪ আসনে জাসদ (ইনু)-কে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনের সম্মতি দেয় আওয়ামী লীগ। অন্য তিনটি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের লড়াই (?) করার ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে উকিল মুন্সির গানে বর্ণিত শুয়াচান পাখিদের মতো অবস্থা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ নির্বাচনী এলাকার নৌকাপ্রত্যাশীদের। তাদের কণ্ঠে কেবল উকিল মুন্সির বিচ্ছেদি গান ‘আমি ডাকতাছি তুমি ঘুমাইছ নাকি?’। এ আসনে নৌকার আজ ও আগামীর মাঝি- এ প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন না কেউ। তাই আওয়াজ উঠেছে ‘আজ কেন হইলে নীরব মেলো দুটি আঁখি রে পাখি… আমি ডাকতাছি তুমি ঘুমাইছ নাকি?’
তবে যারা সত্যি সত্যি আঁখি মেলে আছেন তারা জানেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ নির্বাচনী এলাকার কৃতী সন্তান ও অনল বর্ষী রাজনৈতিক বক্তা অলি আহাদের (১৯২৮-২০১২) কন্যা ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সংরক্ষিত কোটায় সংসদ সদস্য হয়ে সংসদে ও সংসদের বাইরে সরকারের তীব্র সমালোচনা করে সবার দৃষ্টি কেড়েছেন। তাই আগামী নির্বাচনে উকিলের বদলে ব্যারিস্টারের হাতে ধানের শীষ ওঠার শঙ্কায় উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া সময় থাকতে আখের গুছিয়েছেন বলে মনে করেন কেউ কেউ। আবার ভবিষ্যতে বিএনপি ছেড়ে নির্বাচন করলে সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রার্থী বা প্রতীক না দিয়ে প্রচ্ছন্নভাবে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীর বা বিএনপির ‘বি’ টিমের জয় সহজ করার স্পষ্ট ইঙ্গিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ নির্বাচনী এলাকায় দেখতে পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাই এটা কি উকিলের প্যাঁচ না আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কৌশল- এ নিয়ে চায়ের কাপে ঝড় উঠতে পারে। হাওরের ঝড় দেখে ভয় পেতেন না উকিল মুন্সি, তবে তাঁর দরদি মন কাঁদত মানবসৃষ্ট ঝড় দেখে। তখন তিনি দরাজ কণ্ঠে গাইতেন ‘তোমার-আমার এই পিরিতি চন্দ্র-সূর্য সাক্ষী, হঠাৎ করে চলে গেলে, বুঝলাম না চালাকি রে পাখি’। চালাকি ছাড়া রাজনীতি চলে না। তবে অতিচালাক হলে যে বিপর্যয় ঘটে তার প্রমাণও কম নয়। দরজায় করা নাড়া ১/১১ এমনটাই শিখিয়েছে আমাদের। তাই দেশের প্রধান দুটি দলকেই চলতি বছরে অনেক পরিকল্পনা করে পরিপক্বতার সঙ্গে এগোতে হবে। বিশ্বপরিস্থিতি ভালো নয়। বাংলাদেশে সমস্যা তৈরি বা সমস্যা উসকে দিতে বিদেশিদের কাছে পেলেও সমস্যার সমাধানে যে কার্যকরভাবে ও প্রয়োজনীয় সময়ে কাউকে পাশে পাওয়ার সম্ভাবনা ক্রমেই ক্ষীণ হচ্ছে, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বিদেশি শক্তির কেবল আশ্বাস আর কথার বাইরে কার্যকর, দৃশ্যমান ও বলিষ্ঠ পদক্ষেপের কোনো প্রমাণ আমরা পাইনি। এর ওপর যদি রাজনৈতিক সমস্যা ও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় আর ১/১১-এর মামদো ভূত বা সুজাতা-আজিমরা শিং দিয়ে গুঁতো দেয়, তার চড়া মূল্য আমাদেরই দিতে হবে।

বিএনপির সংকট দিনে দিনে বাড়ছে বই কমছে না। তাদের অনেক বড় বড় নেতাকে সমঝোতার ভিত্তিতে কারাগারে রেখে সীমিত আন্দোলন টিকিয়ে রাখার গল্প শোনা যায়। একদল নেতা কারাগারে থাকবেন আবার অন্য দল পালা করে তাদের জামিনে বের করার আন্দোলন করবেন- এ নিয়েই ব্যস্ত থাকবে বিএনপি। কারাগারের নেতারা বের হওয়ার সময় হলে তাঁদের মুক্তির দাবিতে যাঁরা আন্দোলন করেছেন তাঁদের নামে মামলা হবে এবং কারামুক্ত নেতারা একটু বিশ্রাম নিয়ে আবার অন্যদের মুক্তির দাবি করবেন- এ পাণ্ডুলিপি যিনি লিখেছেন তিনি মূলধারায় কিছু লিখলে নির্ঘাত নোবেল পুরস্কার পেতেন। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে কী করা হবে আর না নিলে কী করা হবে- এ গবেষণা চলছে বা চলবে এটাই স্বাভাবিক। তবে চিন্তার বিষয় নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে। নির্বাচন কমিশন বা দলীয় নেতারা হাত-পা ধরলেও আমলা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাংশ নিরপেক্ষ বা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে দেবে কি না- এ নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। কারণ একদল আমলা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি নিজেকে দলের আস্থাভাজন প্রমাণের জন্য নিষেধ করলেও কোনো কোনো দলের পক্ষে বা বিপক্ষে কাজ করার ইঙ্গিত বহন করে, যা সুস্থ নির্বাচনের অন্তরায়। এ আমলা বা পোশাকধারীরা পরবর্তীতে নিজেদের ‘কিং মেকার’ দাবি করে ফায়দা আদায়ে সচেষ্ট থাকেন। আমলারা মন্ত্রী, এমপি বা রাজনীতিবিদদের কথা শোনেন না, এ অভিযোগের মূলে রয়েছে আমলাদের রাজনৈতিক পরিচয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ নির্বাচনী এলাকার আদলে বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত কিংবা বিএনপি নির্বাচন করবে না বিধায় নিরুপায়রা যদি স্বতন্ত্র বা নতুন দল বা জোটের অধীনে নির্বাচনে দাঁড়ায় তবে বিএনপি বহিষ্কারের বাইরে আর কী করতে পারে তা দেখার অপেক্ষায় একদল কলামিস্ট। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্যতা দেওয়ার কৌশল হিসেবে বিএনপির বি-টিম তৈরিতে একটি মহল বিএনপির ভিতর ও বাইরে থেকে সচেষ্ট, এ কথা বিএনপি নেতারাই প্রকারান্তরে জানেন এবং মাঝেমধ্যে বলে ফেলেন। বিএনপির জন্য অপ্রিয় হলেও সত্য যে, দলীয় সিদ্ধান্ত যা-ই হোক নির্বাচনে অংশ নিতে প্রবল আগ্রহ মিশে আছে এ দেশের কিছু নেতা-কর্মীর অস্থিমজ্জায়। তাদের নির্বাচন আসক্তি অনেকটা নেশার মতো। তাই বলা যায়, খেলা হোক আর না হোক, নির্বাচন হবে। আর আওয়ামী লীগে যেহেতু বি-টিম জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা নেই, তাই প্রশ্ন একটাই- তবে কি বিএনপির বি-টিম তৈরি হচ্ছে? উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া কি তবে এই বি-টিমের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান?

বাংলাদেশের পূর্ব দিকের জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া। তার পূর্বে ভারত ও মিয়ানমার। তারও পূর্বে চীন। তাই পূর্বের রাজনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক বাতাস বাংলাদেশের জন্য কতটা গ্রহণীয় বা বর্জনীয় তা নিয়েও ভাবতে হবে। কারণ পুবের বাতাসে দেশের রাজনীতিতে অতীতে অনেক ঘটনা ঘটেছে। সুতরাং পুবালি বাতাসের আশায় না থেকে দেশের সমস্যা দেশেই সমাধানের প্রত্যাশায় বছরটা শুরু হোক। উকিল মুন্সির আরেকটি গানের কথামতো যেন বলতে না হয় ‘পুবালি বাতাসে/বাদাম দেইখা চাইয়া থাকি/আমারি ন কেউ আসে’। প্রিয় পাঠক, যখন এ লেখাটি পড়ছেন তখন আলোচিত-সমালোচিত ও কলঙ্কিত ১/১১ অর্থাৎ জানুয়ারির ১১ তারিখের কথা হয়তো গণমাধ্যমে উদ্ভাসিত। রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে সংবিধানের তোয়াক্কা না করে কীভাবে তৃতীয় শক্তির উত্থান ঘটে তা এক-এগারোসংশ্লিষ্ট ঘটনার বিশ্লেষণে বোঝা যায়। চোর যেমন ধর্মের কাহিনি শোনে না, তেমনি তৃতীয় শক্তিও সংবিধান পড়ে না, বরং ‘কিংস পার্টি’ দিয়ে বিধানকে পরিবর্তন করে নিজের রক্ষাকবচ তৈরি করে। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিই যে মূল রাজনৈতিক শক্তি তা অস্বীকার করা চোখ বন্ধ করে ঝড় ঠেকানোর নামান্তর। বি-টিম কিংবা কিংস পার্টি যে আদতে কাজে আসে না তা বোঝার বা অনুমানের মতো প্রজ্ঞাবান নেতা না থাকলে দেশে আবারও ১/১১ নেমে আসার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে এই প্রজ্ঞাবান নেতা বলতে সেই নেতা বোঝায় না যারা জনসেবা নয়, স্টেজে উঠতে জীবন বাজি রাখতে পিছপা হয় না। অতি সম্প্রতি ছাত্রলীগের একটি সম্মেলনে দলের প্রধান সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতার বহর স্টেজে উঠতে উঠতে একপর্যায়ে স্টেজ ভেঙে নিচে পড়ে যান ওবায়দুল কাদের। তখনো নিচে পড়ে যাওয়া ওবায়দুল কাদেরের ছবি ও তাঁর সঙ্গে পাতিনেতাদের নিজের ছবি বা সেলফি তুলতে ব্যস্ত থাকার কুরুচিপূর্ণ দৃশ্য ইউটিউবে দেখা যায়। এসব দেখে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের একটি লাইন বারবার মনে পড়ে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- ‘আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না, এ দেশের মানুষের অধিকার চাই’। দলের লোকেরা যদি আজ সবাই কর্মীর বদলে নেতা হতে চায় আর স্টেজে থাকতে চায় তবে স্টেজের মতো দল ভেঙে পড়াও বিচিত্র নয়। আর দল ভেঙে পড়ার বাইপ্রোডাক্ট হলো বি-টিম, কিংস পার্টি, উত্তরপাড়ার বড় ভাইদের আগমন। সুতরাং রাজনীতিতে ১/১১ যেন কখনো না আসে, সেই কামনা করি। উকিল মুন্সি ‘ভেবেছিলাম রঙে দিন যাবে রে’ গানে বলেছেন ‘কুক্ষণে বাড়াইলাম পাও, খেয়াঘাটে নাইরে নাও’। অর্থাৎ সময়মতো ঘর থেকে বের না হলে খেয়া পারাপারের নৌকা ঘাটে পাওয়া যায় না। সব পক্ষের মধ্যে রাজনৈতিক সমঝোতার লক্ষ্যে পা বাড়ানোর বোধহয় এখনই সময়।

সুত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

আরো পড়ুন : বিএডিসি’র ১৩৮২ কোটি টাকার সার গিলে ফেললেন পোটন

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *