নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসকে সপরিবারে মেরে জেলে যাওয়ার কথা বলেছেন গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী। ২১ জুন দলীয় এক সভায় তিনি তার বক্তব্যে এমপি কুদ্দুস ও তার পরিবারকে উদ্দেশ্য করে ঐ কথা বলেন।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে শাহনেওয়াজকে বলতে শোনা যায় ‘এমপি কুদ্দুস দলের ভেতর রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করতে চাচ্ছেন। দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভেদ-বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু আমরা নিজেরা সংঘর্ষে জড়াব না। মারতে হলে এমপি কুদ্দুস, তার ছেলে ও মেয়েকে মেরে জেলে যাব।’
এ ঘটনায় গতকাল রবিবার বিকাল ৪টার দিকে পৌর সদরের চাঁচকেড় কাচাড়িপাড়ার দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সম্মেলনে উপস্থিত জেলা ও উপজেলার প্রায় ৫০ জন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ বলেন, গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম আসনে পাঁচ বার এমপি এবং টানা তিন বার নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল কুদ্দুস। অথচ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে তাকে সপরিবারে হত্যার হুমকি দিয়েছেন শাহনেওয়াজ। তারা হুমকিদাতার সাংগঠনিক ও আইনি বিচার দাবি করেন।
দলীয় সূত্র বলছে, পৌর মেয়র শাহনেওয়াজের সঙ্গে এমপি আব্দুল কুদ্দুসের কোন্দল দীর্ঘদিনের। আসন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলকে ঘিরে দুই পক্ষের বিবাদ আবারও প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে।
গুরুদাসপুর থানার ওসি আব্দুল মতিন ইত্তেফাককে জানান, রাজনৈতিক দলের কোনো অভিযোগ তিনি পাননি। তাছাড়া যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।
নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান ইত্তেফাককে বলেন, ভিডিওটি তিনি দেখেছেন। দলীয়ভাবে শাহনেওয়াজকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। জবাব পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে শাহনেওয়াজ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এমপি কুদ্দুস দলের ভেতর কোন্দল তৈরির চেষ্টা করছেন। তাকে সপরিবারে হত্যার কথা তিনি বলেননি।
অন্যদিকে, এমপি কুদ্দুস এব্যাপারে বলেন, বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখেছেন তিনি। তাকে হুমকি দেওয়ার জবাব তার এলাকার জনগণ দেবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আরো পড়ুন : গোবিন্দগঞ্জে দূবৃর্ত্তদের হামলায় বাড়ীতে আগুন ও ফলজ বৃক্ষ কর্তন