উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, ক্ষমতাসীনদের আশ্রয়ে শিক্ষকদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। তাঁরা বলেন, শিক্ষার্থীদের যে নৈতিক অবক্ষয় হচ্ছে, এর জন্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তাদের সংস্কৃতিমনা করে গড়ে তুলতে হবে। এর জন্য রাষ্ট্রকে মূল ভূমিকা পালন করতে হবে। শনিবার শাহবাগে শিক্ষকদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়নের প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা ধর্ম অবমাননার দায়ে গ্রেপ্তারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তি ও এ-সংক্রান্ত সব মিথ্যা মামলা যাচাই করে প্রত্যাহারের দাবি জানান। এ সময় ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি বন্ধ করা আমাদের বহুদিনের দাবি। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে হিন্দুশূন্য, মেধাশূন্য করার জন্য, পাকিস্তান বানানোর জন্য ধারাবাহিকভাবে হামলাগুলো চালানো হচ্ছে।
বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় মণ্ডল বলেন, শিক্ষার্থীরা শিক্ষক স্বপন কুমারের গলায় জুতার মালা দেয়নি, দিয়েছে আমার ও আপনার গলায়।
অধ্যাপক এম এম আকাশের প্রশ্ন, নারায়ণগঞ্জের শ্যামল কান্তির ওপর নির্যাতনের কি বিচার হয়েছে? নাট্যকার রতন সিদ্দিকীর স্ত্রী ফাহমিদা হক পলি বলেন, এখানে যে নির্যাতিত হয়ে আসব, এটা কখনও ভাবিনি।
এ সময় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ডক্টরস অ্যান্ড হেলথ সভাপতি ডা. এম এইচ ফারুকী, শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফ, প্রজন্ম একাত্তরের সাধারণ সম্পাদক আসিফ মুনির, বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি নুর মোহাম্মদ তালুকদার, কবি কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে, কেন্দ্রীয় খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক দোলন সাহা প্রমুখ। সমাবেশের শুরুতে কবিতা আবৃত্তি করেন সুবর্ণা আফরিন, গান পরিবেশন করেন তৌহিদা স্বাধীন।
এদিকে ‘সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন’-এর ব্যানারে শিক্ষক নিপীড়নের প্রতিবাদে সমাবেশ করেছেন শিক্ষাবিদরা। সমাবেশে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা সেলু বাসিতের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন সংগঠনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য পঙ্কজ ভট্টাচার্য, সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদবিরোধী মঞ্চের সদস্য সচিব নূর মোহাম্মদ তালুকদার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ প্রমুখ।
আরো পড়ুন : সূঁচবিহীন একটি টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছে বিএমআরসি