দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী সূঁচবিহীন একটি টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি)।
শনিবার বিকেলে গণমাধমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই অনুমোদনের বিষয়ে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই টিকা আবিষ্কারের করেছেন সুইডেনের বিজ্ঞানীরা। পাউডারের মতো নাক দিয়ে নেওয়ার সেই টিকা সুইডেনে ইতোমধ্যে প্রাণীর দেহে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে, এবং সেখানে শতভাগ সফলতা পাওয়া গেছে। এখন বিজ্ঞানীরা মানব শরীরে ট্রায়াল করবেন। প্রবাসী কয়েকজন বাংলাদেশি চিকিৎসকের উদ্যোগে মানব ট্রায়ালের প্রথম পর্যায়ের জন্য বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
আরো পড়ুন : গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯ জনসহ মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ১৬০ জন
সুইডেনের ইম্যিউন সিস্টেম রেগুলেশন হোল্ডিং এবি বা আইএসআর মানব ট্রায়ালের জন্য কন্ট্রাক্ট রিসার্চ অর্গানাইজেশন (সিআরও) হিসেবে বাংলাদেশে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালস লিমিটেডের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করেছে।
এর সিআরও হিসাবে কাজ করছেন অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রথম দফায় দুই শত স্বেচ্ছাসেবীর ওপর পরীক্ষা চালানো হবে। সেখানে নিরাপদ বলে প্রমাণিত হলে দ্বিতীয় দফায় আরও বেশি মানুষের ওপর পরীক্ষা চালানো হবে। সেখানে সফলতা পাওয়া গেলে তৃতীয় পর্যায়ে কয়েক হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষা করা হয়।’
আরো পড়ুন : করোনায় ৬ জনসহ মৃত্যু ২৯,১৬০; ১,১০৫ জন শনাক্তসহ দেশে আক্রান্ত ১৯,৭৬,৭৮৭ জন
ডা. এবিএম আবদুল্লাহ জানান, বাংলাদেশে ফেজ-ওয়ান ট্রায়ালে ১৮০ জন স্বেচ্ছাসেবীর ওপর পরীক্ষা করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যারা সবাই স্বাস্থ্যকর্মী। মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই পরীক্ষা হতে পারে। সাধারণত যে দেশে ফেজ-ওয়ান ট্রায়াল হয়ে থাকে, সেই দেশেই পরবর্তী ফেজের ট্রায়ালগুলো হয়ে থাকে। সুইডেনের এই আবিষ্কারের তথ্য জানতে পেরে ইউরোপ ও আমেরিকায় প্রবাসী কয়েকজন বাংলাদেশি এই ট্রায়াল বাংলাদেশে নিয়ে আসার ব্যাপারে উদ্যোগী হন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলেন, ‘বাংলাদেশে ট্রায়াল হলে আমরা এই টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার তালিকায় থাকবো। আমরা সেটা উৎপাদনের অনুমতি পাবো। ফলে এটা আমাদের জন্য একটি বিরাট সুযোগ হবে।’
আরো পড়ুন : এরশাদের মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টি এলোমেলো হয়ে পড়েছে