কয়দিন পরেই আসছে রমজান। মুসলিম ধর্মপ্রাণরা সারা বছর ধরে পবিত্র এই মাসের জন্য অপেক্ষা করেন। তবে এই রোদ গরমে রোজা রেখে শরীর সুস্থ রাখতে হলে অবশ্যই কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে। আর আপনি যদি জটিল কোন রোগে ভুগে থাকেন সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
যেমন টাইপ ২ ডায়াবেটিসে যারা ভুগছেন রমজানে তাদের কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন
ডায়াবেটিক রোগীরা রোজার আগে একবার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে নিন। রোজার সময় শরীরের রক্তে শর্করা ও উচ্চ-রক্তচাপের ওপর প্রভাব পড়ে। আপনি যদি ডায়াবেটিস বা উচ্চ-রক্তাচপের সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে চিকিৎসকের কাছ থেকে চার্ট তৈরি করে নিন। অবশ্যই তা যেনো নিজের মনমতো না হয়।
শরীর হাইড্রেট রাখা:
সেহেরি ও ইফতারের সময় ও এর মাঝামাঝি প্রচুর তরল জাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। সারাদিন চেষ্টা করুন ঠাণ্ডা জায়গায় থাকতে আর শারীরিক কার্যক্রম আগের চেয়ে কমিয়ে ফেলুন।
রক্তে শর্করা পরীক্ষা করুন
সারাদিন রোজা রেখে অনেকসময় রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে গিয়ে হাইপো হয়ে যায়। অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, অবসাদ, বিভ্রান্তির মতো সমস্যা দেখা দিলে সচেতন হন। এমন লক্ষণ দেখা দিলে ব্লাড সুগার পরীক্ষা করুন। অনেকের ধারণা রোজা রেখে এই ব্লাড সুগার পরীক্ষা করলে রোজা ভেঙ্গে যায় কিন্তু এ ধারণা ভুল।
অতিরিক্ত মিষ্টি ও উচ্চ শর্করাসমৃদ্ধ খাবার থেকে দূরে থাকুন
চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে অতিরিক্ত মিষ্টি বা উচ্চ শর্করাসমৃদ্ধ খাবার বাদ দিয়ে ফ্যাটজাতীয় খাবারের প্রতি গুরুত্ব দিন। ফ্যাট জাতীয় খাবার অনেকক্ষণ আপনার পেট ভরা রাখবে এবং রক্তে শর্করা বাড়তে দেবে না। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে আলোচনা করে নেবেন কারণ আপনি এমন কোন ওষুধ খেয়ে থাকতে পারেন যার ফলে শরীরে অন্য প্রভাব ফেলতে পারে।
অতিরিক্ত খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন থাকুন
পরিবার-পরিজন বা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে মানুষ ইফতার করে। সচেতন থাকুন যে অতিরিক্ত খাওয়া যেনো না হয়। কারণ এতে গ্লুকোজের মাত্রা হুট করে বেড়ে যেতে পারে। তবে যাই হোক চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করতে ভুলবেন না।
সূত্র: দ্যা টাইমস অব ইন্ডিয়া