দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে মানিকগঞ্জের ঘিওরে সেতুর একপাশের রেলিং। ফলে প্রায়ই এখানে ঘটছে দুর্ঘটনা। এ ছাড়া ঝুঁকি নিয়ে সেতু পার করছেন প্রায় ১০ গ্রামের হাজারো মানুষ। সম্প্রতি এমনই অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় ২৫ বছর আগে উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের বাইলজুরী পশ্চিমপাড়া-সিধুনগর খালের ওপর এই সেতু নির্মাণ করা হয়। তবে দীর্ঘদিন ধরে এই সেতুর একপাশের রেলিং নেই। এই সেতু সংস্কারে এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। ফলে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
আজ রোববার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙা সেতু দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ভ্যান, রিকশা, সাইকেল, মোটরসাইকেলসহ অসংখ্য মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, সিধুনগর, পশ্চিম বাইলজুরী, বাগুন নার্চী, শিধরনগর, বাসুদেব বাড়ী, গোমস্তাপাড়াসহ প্রায় ১০টি গ্রামের লোকজন এ সেতু দিয়ে যাতায়াত করে। এই সেতু পার হলেই দৌলতপুর-বরংগাইল আঞ্চলিক পাকা সড়ক।
জানা গেছে, রেলিং না থাকায় দুই বছর আগে ওই সেতু থেকে পড়ে রাহাজ (৩২) নামের এক যুবক পঙ্গু হয়ে গেছেন। ভেঙে গেছে তার মেরুদণ্ডের হাড়। কোনোমতে বেঁচে থাকলেও তার সম্বল এখন হুইলচেয়ার। এ ছাড়া একই এলাকার লিটন মিয়ার ছেলে হৃদয় হোসেন (২৫) নামের একজন সেতু থেকে পড়ে আহত হন। এ রকম অসংখ্য ছোট-বড় দুর্ঘটনা অনবরত ঘটেছে।
স্থানীয় ধনি মিয়া বলেন, ‘আমাদের এলকার সেতুর ওপর একপাশে রেলিং না থাকায় খুবই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। এই সেতু ব্যবহার না করলে ঘিওর উপজেলা সদরে যেতে আরও চার কিলোমিটার ঘুরতে হয়। বাধ্য হয়ে এই সেতু ব্যবহার করি। রেলিং না থাকায় অনেকেই সেতুর নিচে পড়ে পঙ্গু হয়ে গেছে। এ ঝুঁকি থেকে পরিত্রাণ পেতে দ্রুত সেতু সংস্কারের দাবি জানাই।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বলেন, ‘এই সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেতুটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। এখানে মাঝেমধ্যেই ঘটে দুর্ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে ইউএনওর সঙ্গে আলাপ করব।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হামিদুর রহমান বলেন, ‘সেতুটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুটির রেলিং সংস্কার করা হবে।’
আরো পড়ুন : জেনে নিন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হতে যাওয়া কে এই সাহাবুদ্দিন চুপপু