ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জব্দ করা সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছে রাশিয়া। আজ শুক্রবার দেশটির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ এ কথা বলেছেন।
বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানায়, রিয়াবকভ বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের অবশ্যই উচিত হবে না মোহাচ্ছন্ন হয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া। তাদের এটা মনে করা ঠিক হবে না যে তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে নিতে পণ করে আছে রাশিয়া।’
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সম্পদ জব্দ করা হয়। যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ইউক্রেনের পুনর্গঠনে এসব সম্পদ ব্যবহারের দাবি উঠেছে। সম্প্রতি ইউরোপের একাধিক দেশ রাশিয়ার কিছু সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে। এমন পরিস্থিতিতে এ হুঁশিয়ারি দিলেন রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ব্যাপক ড্রোন হামলা
এদিকে আজ ভোরে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বড় ধরনের ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে দুজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এ মাসে কিয়েভে ষষ্ঠবারের মতো ড্রোন হামলা চালাল রুশ বাহিনী।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিৎসকো জানান, কিয়েভের দক্ষিণে সোলোমিয়ানস্কি এলাকায় আবাসিক কয়েকটি ভবনে ড্রোন হামলা চালানো হয়। এ সময় ভবনগুলোর ওপরের তলাগুলোয় আগুন ধরে যায়। তবে দ্রুতই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
উদ্ধারকারী দলগুলো টেলিগ্রামে বলেছে, ২৪, ২৫ ও ২৬ তলার বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহত দুজনের মধ্যে একজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিওতে আকাশে ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে। নিপ্রো নদীর পূর্ব তীরে দারনিতস্কি এলাকায় নির্মাণাধীন একটি বাড়িতেও আগুন লেগে যায় বলেও জানান ক্লিৎসকো।
ইউক্রেনের বিমানবাহিনী দাবি করেছে, হামলায় ব্যবহার করা ২৮টি ড্রোনের মধ্যে ২৪টি ভূপাতিত করা হয়েছে। ইউক্রেনের মধ্যাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে ‘ইরানের তৈরি’ এসব ড্রোন ধ্বংস করা হয়।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের যুদ্ধক্ষেত্রে নতুন গতি পেয়েছে রুশ বাহিনী। তাদের আক্রমণের মুখে ইউক্রেন বাহিনী আত্মরক্ষামূলক অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছে।
এদিকে আগামী বছর ইউক্রেন যুদ্ধে ও রাশিয়ার নিরাপত্তায় ১৫৭ বিলিয়ন (১৫ হাজার ৭০০ কোটি) ডলার ব্যয় করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। আগামী বছর সামরিক খাতে রাশিয়ার এই ব্যয় হবে স্নায়ুযুদ্ধের পর সবচেয়ে বেশি। আর চলতি বছরের ব্যয়ের চেয়ে তা ৭০ শতাংশ বেশি হবে।
প্রথম আলোর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন।
আরো পড়ুন : যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনকে সমর্থনে আইসিসি বাধা দেবে কেন