হেলিকপ্টার থেকে দফায় দফায় ছোড়া হচ্ছে গুলি ও গোলা। সেগুলো আঘাত হানছে নিচে গাছপালার ভেতরে থাকা নানা লক্ষ্যবস্তুতে। আঘাতের পর সেখান থেকে উঠছে ধোঁয়ার কুণ্ডলী। আজ রোববার বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম স্পুতনিক নিউজের খবরে বলা হয়েছে, টেলিগ্রামে ওই ভিডিওটি প্রকাশ করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এমআই-২৮এন হেলিকপ্টার থেকে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে। এই হেলিকপ্টার ‘নাইট হান্টার’ (রাতের শিকারি) নামেও পরিচিত।
ইউক্রেনের কোন অঞ্চলে বা কবে ওই হামলা চালানো হয়েছে, তা স্পুতনিকের খবরে উল্লেখ করা হয়নি। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, হামলায় আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার পাশাপাশি ইউক্রেনের সেনাদের বিভিন্ন স্থাপনাও ধ্বংস করা হয়েছে। হামলার পর হেলিকপ্টারগুলো নিজ ঘাঁটিতে ফিরে যায়।
এর আগে গতকাল শনিবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেঙ্কভ দাবি করেন, রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের ১৩৪টি উড়োজাহাজ, ৪৬০টি ড্রোন (চালকবিহীন বিমান), ২৪৬টি আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা, ২ হাজার ২৬৯টি ট্যাংক ও অন্যান্য সামরিক যান, ২৫২টি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণব্যবস্থা, ৯৮৭টি কামান ও মর্টার ও ২ হাজার ১৫৮টি বিশেষ সামরিক যান ধ্বংস করা হয়েছে।
এ ছাড়া যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের ২৩ হাজার ৩৬৭ জন সেনা নিহত হয়েছেন দাবি করে ইগর কোনাশেঙ্কভ বলেন, যুদ্ধে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী, ন্যাশনাল গার্ড ও বিদেশি ভাড়াটে যোদ্ধারা যে ক্ষতির মুখে পড়েছেন, তার নির্ভরযোগ্য হিসাব রয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের হাতে। ইউক্রেনের বাসিন্দাদের কাছে এসব তথ্য প্রকাশ করতে ভয় পান দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
আরো পড়ুন : টিআইবির গবেষণায় টিকার খরচে ২৩ হাজার কোটি টাকার ফারাক!